কিন্তু একটু সচেতন হলেই ভুঁড়ি আর বাড়বে না বরং কমবে। আর ভুঁড়ি কমলেই আপনি থাকবেন সুস্থ।
১. চেয়ারে বসুন। দুই পা ফাঁক করুন যতটা পারেন। এবার হাত দু’টি দু’দিকে সোজা করে মেলে দিন। ডান হাত দিয়ে বাম পায়ের পাতা ও বাম হাত দিয়ে ডান হাতের পাতা ছোঁয়ার চেষ্টা করুন। দিনে দিনে এর সংখ্যা বাড়ান। এতে পেটে চাপ পড়বে। কয়েকদিনের মধ্যেই বুঝবেন আপনারা ভুঁড়ির সাইজ কমতে শুরু করেছে।
২. কাঠের চেয়ারে বসুন। চেয়ারের ওপর দু’ হাতের তালু রেখে তাতে ভর দিন। পুরো শরীরটাই দুই হাতের তালুর ভরে ওপরের দিকে তোলার চেষ্টা করুন। যতটা পারছেন, ততটাই। প্রথমেই জোর করে অনেকটা তুলবেন না। এতে পেশীতে খিঁচ লাগতে পারে। বার কয়েক এমন করলে কোমর ও তলপেটের চর্বি ঝরবে সহজে।
৩. একটি শক্ত কাঠের চেয়ারে বসে চেয়ারের হেলান দেওয়ার জায়গাটি দু’হাতে ভর দিন। এর পর চেয়ারে বসেই দুই পা হাঁটু পর্যন্ত ভাঁজ করে যতটা পারেন বুকের কাছে আনুন আর সামনের দিকে শূন্যে ভাসিয়ে দিন। এমন করে বার পাঁচেক করুন। ধীরে ধীরে বার ও সময় বাড়ান। এতে পেট ও কোমরের পেশী টান পড়ে ও মেদ ঝরে সহজে।
৪. চেয়ারে বসে দু’হাত ভাঁজ করে মাথার পিছনে দিন। এবার এক এক করে হাঁটু ভাঁজ করা অবস্থায় মাটি থেকে পা তুলুন। ডান হাতের কনুই দিয়ে বাঁ হাঁটু ও বাঁ হাতের কনুই দিয়ে ডান হাঁটু ছোঁয়ার চেষ্টা করুন। বার পনেরো করুন। এতে আপনার কোমরের মেদ তো ঝরাবেই, সঙ্গে শরীরের একাংশ কিছুটা ভাঁজ হওয়ার দরুন পেটের অতিরিক্ত চর্বিও গলবে সহজে।
৫. একটা চেয়ারের কোণা এক হাতে ধরে দাঁড়ান। এর পর একটি পা ভাঁজ করে পিছন দিক দিয়ে কোমরের কাছ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। গোড়ালির কাছটা ধরে থাকুন অন্য হাত দিয়ে। জঙ্ঘা ও পেটের জন্য এই ব্যায়াম খুব উপকারী। অনেকের পা ভারী হয়। তাদের জন্যও এই ব্যায়াম কার্যকর। প্রতি পায়ে দশ বার করে করুন এই ব্যায়াম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩. ২০২০