বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) সম্মিলিতভাবে ‘খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাট, হৃদরোগ ঝুঁকি এবং করণীয়: ভোক্তা পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব দাবি জানানো হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাট নির্মূলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ৯ দফা ভোক্তা দাবিনামা বাস্তবায়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
সভায় গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, বাংলাদেশ থেকে এখন খাদ্যপণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হয়। খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাট নির্মূল করা না গেলে বিদেশিরা আমাদের পণ্য কিনবেন না। এতে করে আমরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সম্মানিত সদস্য মনজুর মোর্শেদ বলেন, আমরা খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা ২ শতাংশে নির্ধারণের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এলক্ষ্যে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটি কাজ শুরু করেছে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক বিগ্রেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক বলেন, অসংক্রামক রোগের প্রকোপ কমাতে আমাদের খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাট নির্মূল করতে হবে।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান, বাংলাদেশে স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক মো. মুয়াজ্জেম হোসাইন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর এনসিডিসি ডা. হাবিবুর রহমান, ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া, প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
এমএএম/ওএইচ/