শুক্রবার (৬ মার্চ) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় বিসিএইচসিপিএ'র দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের চাকরি রাজস্বকারণে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে আন্দোলন শুরু হয়।
তারা বলেন, আন্দোলনজনিত কারণে কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকায় সব সিএইচসিপির জন্য রাষ্ট্রপতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি তারপরও ৮ সহকর্মী সিএইচসিপিকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। আজও ওই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি। বিগত দুই বছর যাবৎ ওই ৮ সিএইচসিপি মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এটি খুবই শোচনীয়।
সংগঠনের সদস্য সচিব মো. মঈন উদ্দীন বলেন, আমরা অবিলম্বে ওই ৮ সিএইচসিপির সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও কমিউনিটি স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট বোর্ডের সভাপতি ও সিবি এইচপি লাইন ডিরেক্টরের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা আশা করি, মুজিববর্ষ উপলক্ষে কমিউনিটি প্রধানমন্ত্রী ওই ৮ সিএইচসিপির সামরিক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে আমাদের চাকরি রাজস্বকরণের ঘোষণা দেবেন।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি না মানলে আগামী ২৯ মার্চ সব জেলার সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসক বরাবর আমরা স্মারকলিপি দেবো। এরপর আগামী ১ এপ্রিল থেকে সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনে যুগ্ম মহাসচিব আফজাল শরীফ, রায়হান আলী, মাসুদুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২০
পিএস/এইচজে