ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় অনেক জটিল রোগ ভালো হয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২০
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় অনেক জটিল রোগ ভালো হয়

ঢাকা: স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব (স্বাস্থ্য শিক্ষা) মো. আলী নূর বলেছেন, অনেক জটিল রোগ আছে, যা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ভালো হয়। এ পেশায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণায় মনোযোগী করতে পারলে তারা আরো ভালো করবেন।

শনিবার (৭ মার্চ) বিকেলে কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে ২ দিনব্যাপী ৭ম আন্তর্জাতিক হোমিওপ্যাথি বিজ্ঞান সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব।

আলী নূর বলেন, একটি জাতিকে এগিয়ে নিতে চাইলে শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে।

শিক্ষা যে কোনো ধরনের হতে পারে, যেমন- সাধারণ শিক্ষা, ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যালোপ্যাথিক, হোমিওপ্যাথিক ইত্যাদি। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় উচ্চশিক্ষা অতি জরুরি। হোমিওপ্যাথিক শিক্ষার জন্যও বাজেট প্রয়োজন।

'বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যখাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাজেট বরাদ্দ দেয়। আমি আপনাদের দাবি সরকারের কাছে উপস্থাপন করবো। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তারেরা যদি উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে স্কলারশিপ নিতে চায়, তাহলে সরকারিভাবে তাদের স্কলারশিপ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, দেশে ৩২ হাজার রেজিস্টার ডিপ্লোমা সার্টিফিকেটধারী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক আছেন। তাদেরকে প্রত্যেকটি কমিউনিটি মেডিকেল সেন্টারে সরকারি মেডিকেল অফিসার হিসেবে নিয়োগের দাবি জানান তিনি। ডিপ্লোমাধারী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণাযর জন্য গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলারও আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের অধীনে ৬৪টি জেলায় একটি করে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ আছে। এগুলোতে ৮ শতাধিক শিক্ষক কর্মরত আছেন। এ সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ২০০৯ সালের স্কেল অনুযায়ী ৩০ শতাংশ বেতন পান। কিন্তু সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী নতুন বেতন কাঠামো ২০১৫ সালে পরিবর্তন হলেও আমাদের বেতন কাঠামো আজ পর্যন্ত পরিবর্তন হয়নি। সরকারের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ২০০৯ সালের মূল বেতন ২০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ উন্নত হয়েছে, কিন্তু নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী হয়নি। দেশে সরকারিভাবে একটি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল আছে। অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাকে ব্যাপক আকারে প্রসারের জন্য প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দাবি জানান তারা।

সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডি ইন হোমিওপ্যাথি আয়োজিত ৭ম আন্তর্জাতিক হোমিওপ্যাথি বিজ্ঞান সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ডা. এম এ কাদের। সেমিনারে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন- সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডি ইন হোমিওপ্যাথি'র মহাসচিব ডা. মো. আব্দুল মজিদ, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের রেজিস্টার মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

এছাড়া এ হোমিওপ্যাথি বিজ্ঞান সেমিনারে জার্মানি, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২০
পিএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।