ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

করোনা ইস্যুতে বন্দরগুলোতে বসেছে ৫টি নতুন স্ক্যানার 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২০
করোনা ইস্যুতে বন্দরগুলোতে বসেছে ৫টি নতুন স্ক্যানার 

ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের অংশ হিসেবে দেশে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিমান, সমুদ্র ও স্থলবন্দরে নতুন করে ৫টি স্ক্যানার মেশিন বসানো হয়েছে।

সোমবার (৯ মার্চ) দুপুরে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আইইডিসিআর-এর কার্যালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান আবুল কালাম আজাদ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, সোমবার বিকেল থেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালনায় আন্তর্জাতিক বিমান, সমুদ্র, স্থলবন্দরগুলোতে বিদেশ থেকে আগত সব যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হবে।

নতুন ৫ স্ক্যানারের মধ্যে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে একটি ও বিমানবন্দরে একটি, বেনাপোল বন্দরে একটি, সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি স্থাপন করা হয়েছে। এর আগ পর্যন্ত শাহজালালে একটি স্ক্যানার বসানো ছিল।  

বিদেশ থেকে আগতদের স্ক্যানিং করা প্রসঙ্গে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় প্রথম দিকে শুধু ঢাকার হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সে দেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্যানিং করা হতো। পরবর্তীতে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও দ্রুত করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, সমুদ্র ও স্থল বন্দরে বিদেশ থেকে আগত সব যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা শুরু করি।

রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ১১ হাজার ৬৬০ জনকে মেশিনের সাহায্যে স্ক্যানিং করা হয়। এ পর্যন্ত দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিদেশ থেকে আগত যাত্রীর স্ক্যানিং সংখ্যা ২ লাখ ৬০ হাজার ৩৮৬ জন। দুটি সমুদ্র বন্দরে (চট্টগ্রাম ও মংলা) স্ক্যানিং করা যাত্রীর সংখ্যা ৫ হাজার ৭৫০ জন। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ও বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে স্ক্যানিং করা যাত্রীসংখ্যা ৫ হাজার ৮৩৯ জন ‌। এছাড়া  অন্যান্য চালু স্থলবন্দরগুলোতে স্ক্যানিং করা যাত্রীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৮৫ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় স্ক্যানিংকৃত মোট যাত্রীসংখ্যা ১৬ হাজার ৯৫৫ জন। এ বিপুল সংখ্যক যাত্রী স্ক্যানিং করেও শরীরে করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) আছে এমন কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।  

কিন্তু সম্প্রতি ইতালি থেকে দেশে আসা দুই ব্যক্তির শরীরে করোনা পাওয়া গেছে। এছাড়া ইতালি ফেরত একজনের মাধ্যমে আরও এক নারী আক্রান্ত হয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন,  সম্প্রতি ইতালি থেকে আসা দুই ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, এমন সন্দেহে আইইডিসিআর তাদের নমুনা পরীক্ষা করে। এতে তাদের শরীরে রীরে করোনা ভাইরাসের (কভিড-১৯) অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তাদের সংস্পর্শে আসা ৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরী পরীক্ষার মাধ্যমে একজনের নমুনাতে কভিড-১৯ পাওয়া যায়।  

আক্রান্ত তিনজন রাজধানীর একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন। এছাড়া অন্য দুই ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।  

এদিকে বিশ্বব্যাপী করোনার এই প্রকোপকালে দেশ ও নিজের স্বার্থে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২০
পিএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।