ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

১৮ মার্চ থেকে হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২০
১৮ মার্চ থেকে হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু

ঢাকা: আগামী বুধবার (১৮ মার্চ) থেকে হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২০ শুরু করতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ১১ এপ্রিল পর্যন্ত তিন সপ্তাহব্যাপী এ ক্যাম্পেইনে ১৬ লাখ ১৬ হাজার ১১৩ জন শিশুকে হাম-রুবেলার টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ডিএনসিসি। 

সোমবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে উত্তর নগর ভবনে এ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে এক সাংবাদিক অবহিতকরণ সভার আয়োজন করা হয়।  

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আব্দুল হাই।

সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুন।  

এ সময় ক্যাম্পেইন নিয়ে মূল প্রস্তাবনা তুলে ধরেন ডিএনসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা আলী।  

সভায় জানানো হয়, ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে এ ক্যাম্পেইন চলবে। ক্যাম্পেইনে ৯ মাস বয়স থেকে ১০ বছর বয়সী সব শিশুকে এ টিকা দেওয়া হবে। যাদের আগে থেকে হাম-রুবেলার টিকা দেওয়া আছে বা হাম-রুবেলাতে আক্রান্ত তাদেরও এ ক্যাম্পেইনে টিকা দেওয়া হবে। ১৮ মার্চ শুরু হয়ে প্রথম সপ্তাহে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ডিএনসিসির এলাকা আওতাধীন বিভিন্ন স্কুল পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ক্যাম্পেইন চলবে। এরপর ২৮ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত দুই সপ্তাহব্যাপী কমিউনিটিভিত্তিক ক্যাম্পেইন চলবে।  

এতে আরও জানানো হয়, স্কুল পর্যায়ে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীদের এ টিকা দেওয়া হবে।  

সভায় ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, আমরা প্রথমে স্কুল পর্যায়ে টিকা দেবো। এর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অভিভাবকদের বার্তা পৌঁছেয়েছে যে, সে সময়গুলোতে যেন অভিভাবকেরা শিশুদের স্কুলে নিয়ে আসেন। যারা আসবে না স্কুলগুলো থেকে আমরা সেই তথ্য নেবো। এরপর কমিউনিটি পর্যায়ে আমরা আবার টিকাদান কর্মসূচি পালন করবো। সেখানেও কোনো শিশু বাদ পড়লে অভিভাবকেরা শিশুদের স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারেন। এর ফলে কেউই আর টিকা গ্রহণ থেকে বাদ যাবে না।  

তিনি বলেন, দুই হাজার ২২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও কমিউনিটি পর্যায়ে স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র থাকবে ৫৪টি, কমিউনিটি কেন্দ্র থাকবে ৫১৪টি। এ ক্যাম্পেইনে ভ্যাকসিনেটর থাকবেন এক হাজার ২২৬ জন, স্বচ্ছাসেবক থাকবেন এক হাজার ৯২৭ জন, কেন্দ্রীয়ভাবে তদারকিতে থাকবেন ১০ জন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে তদারকিতে থাকবেন চারজন।  

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই বলেন, এ ক্যাম্পেইন সফল হতে গেলে গণমাধ্যমের প্রচার-প্রচারণার দরকার আছে। গণমাধ্যম সবসময়ই আমাদের সেই সহযোগিতা করে এসেছে। এবারও আমরা আপনাদের কাছ থেকে সেই সাহায্য চাই। আমরা চাই আপনারা এ কার্যক্রম নিয়েও সংবাদ পরিবেশন করুন। ক্যাম্পেইন যখন শুরু হবে তখন চাইলে আপনারা বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারেন। এর জন্য আমাদের পক্ষ থেকে যা যা সাহায্য করা দরকার আমরা করবো। আপনারা এ কার্যক্রম শুরুর সংবাদও যদি করেন আপনাদের মাধ্যমে অভিভাবকেরা এর সম্পর্কে জানবেন।  

সভায় জানানো হয়, কোনো ধরনের শারীরিক অসুস্থতা নেই এবং আগে হাম-রুবেলার টিকা নেওয়ার পর কোনো জটিলতা দেখা দেয়নি এমন সব শিশুদের জন্য এ টিকা নিরাপদ। তবে কোনো রোগে অসুস্থ আছে এবং আগে হাম-রুবেলার টিকা নেওয়ায় জটিলতা দেখা দিয়েছিল এমন শিশুদের এ টিকা দেওয়া যাবে না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২০
এসএইচএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।