রোববার (২৯ মার্চ) দিনগত রাতে বিজিএমইএ’র পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএ’কে পিপিই সরবরাহের অনুরোধ করেছে।
পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যে পিপিই তৈরি করছেন, তা সনদপ্রাপ্ত নয়। এগুলো শুধুমাত্র শতভাগ পানি প্রতিরোধী এবং এর নকশা পেশাজীবীরা যে ধরনের পিপিই ব্যবহার করেন, তার কাছাকাছি। এই পিপিই পোশাক সেইসব ডাক্তার ও স্বাস্থকর্মীদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে, যারা আতঙ্কিত হয়ে কাজে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
আতঙ্কিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আশা করছেন, শুধুমাত্র করোনা উপসর্গধারী রোগীদের চিকিৎসাকালে পিপিই ব্যবহার হবে তা নয়, বরং তারা পেশাগত সব কর্মকাণ্ডে সুরক্ষা পাবেন। যেহেতু সম্মুখ সারির স্বাস্থ্যকর্মীদের কোনো ধরনের সুরক্ষা নেই, তাই বিজিএমইএ নিজেদের সম্পদ দিয়ে তাদের সহযোগিতা করার উদ্যোগ নিয়েছে। পিপিই এর ফেব্রিক্স ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে ইতো্মেধ্যে সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) কাছ থেকে অনুমোদন নিয়েছে বিজিএমইএ।
বিজিএমইএ’র প্রস্তাবিত পিপিই-কে লেভেল-১ পরিপূরক হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে ডিজিএইচএস। বর্তমানে বিজিএমইএ’র অনেক সদস্য প্রতিষ্ঠান ফেব্রিক্স দানে এগিয়ে এসেছে। এছাড়াও আরও অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের স্ব স্ব কারখানায় বিনামূল্যে পিপিই তৈরি করার বিষয়ে বিজিএমইএ’কে প্রস্তাবনাও দিয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে এসব ফেবিক্স ক্রয়ের জন্য একটি তহবিল গঠন করার বিষয়ে পরিকল্পনা নিয়েছে বিজিএমইএ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ফেব্রিক্স মূলত চীন থেকে আমদানি করতে হয়। আবার, পিপিই পোশাক প্রস্ততের জন্য কারখানাগুলোকে বিশেষ ধরনের সরঞ্জামাদি ব্যবহার করতে হবে। কারখানায় জীবাণুমুক্ত পরিবেশে উৎপাদন কাজ চালাতে হবে। এসবের জন্য প্রশিক্ষণও দরকার। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের কারখানায় পিপিই তৈরি করার জন্য কমপক্ষে ৬ মাস অথবা এর বেশি সময় লাগবে।
উদ্যোক্তারা বিকল্প উৎস হিসেবে চীন থেকে ফেব্রিক্স আনছেন। এতে লিড টাইম হিসেবে ১৫-২০ দিন সময় লাগবে। যে মুহূর্তে এই আমদানি করা সার্টিফায়েড ফেব্রিক্স উদ্যোক্তাদের হাতে আসবে, তখনই তারা পিপিই তৈরিতে এই ফেব্রিক্স ব্যবহার করবেন।
বিজিএমইএর মূল উদ্দেশ্য হলো- বিশ্বের অবশিষ্ট দেশগুলোতে পিপিই রপ্তানি করা। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও), জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এবং জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থাসহ (ইউনিসেফ) অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমাদের সামর্থ্যকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে পিপিই তৈরি করা যায়, সে ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সংস্থাগুলোও সরবরাহ লাইনে সহযোগিতা দেওয়াসহ কারিগরি জ্ঞান বিনিময়ে বিজিএমইএ-কে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
ইএআর/এসআরএস