১৪ দিন বাড়িতে থাকার পরও এদের কোনো শারীরিক অসঙ্গতি দেখা না যাওয়ায় হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ছয় জেলায় দুই হাজার ৮২৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
এছাড়া বরগুনা জেলায় হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে থাকা তিনজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ফলে এ পর্যন্ত বিভাগে কোয়ারেন্টিন থেকে এক হাজার ৫১৪ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে পটুয়াখালী, বরগুনা ও ঝালকাঠি জেলায় কাউকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়নি। বাকি তিন জেলায় ১৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ১৭৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এর বাইরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঁচজন ও ভোলায় একজন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন।
বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, করোনা ভাইরাস সন্দেহে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডগুলোতে রোগী ভর্তি করা হলেও বিভাগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত এ পর্যন্ত হয়নি। শেবাচিম হাসপাতালে মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে।
এদিকে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে বরিশালের বিভিন্ন উপজেলায় নির্দিষ্ট কিছু বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন ওয়ার্ডের মতো করে খোলা হয়েছে। যেখানে জরুরি প্রয়োজন হলে সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া ও পর্যবেক্ষণে রাখার কাজটি করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
এমএস/আরবি/