ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বরিশাল বিভাগে হোম কোয়ারেন্টিন শেষ করলেন ১৫১৪ জন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
বরিশাল বিভাগে হোম কোয়ারেন্টিন শেষ করলেন ১৫১৪ জন

বরিশাল: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকাদের মধ্যে এরইমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছে এক হাজার ৫১৪ জন। যার মধ্যে অধিকাংশেই বিদেশফেরত বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। 

১৪ দিন বাড়িতে থাকার পরও এদের কোনো শারীরিক অসঙ্গতি দেখা না যাওয়ায় হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ছয় জেলায় দুই হাজার ৮২৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।

যার মধ্য থেকে এ পর্যন্ত এক হাজার ৫১৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।  

এছাড়া বরগুনা জেলায় হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে থাকা তিনজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ফলে এ পর্যন্ত বিভাগে কোয়ারেন্টিন থেকে এক হাজার ৫১৪ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে পটুয়াখালী, বরগুনা ও ঝালকাঠি জেলায় কাউকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়নি। বাকি তিন জেলায় ১৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ১৭৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।  

এর বাইরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঁচজন ও ভোলায় একজন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন।  

বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, করোনা ভাইরাস সন্দেহে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডগুলোতে রোগী ভর্তি করা হলেও বিভাগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত এ পর্যন্ত হয়নি। শেবাচিম হাসপাতালে মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে।

এদিকে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে বরিশালের বিভিন্ন উপজেলায় নির্দিষ্ট কিছু বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন ওয়ার্ডের মতো করে খোলা হয়েছে। যেখানে জরুরি প্রয়োজন হলে সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া ও পর্যবেক্ষণে রাখার কাজটি করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
এমএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।