মঙ্গলবার (৩১ সার্চ) সন্ধ্যায় ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী বাংলানিউজকে বলেন, ওই যুবক জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথা নিয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন।
বুধবার (০১ এপ্রিল) সকালে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে। এছাড়াও জেলার দৌলতখানে আরও এক যুবককে আইসোলেশনে রাখা হলেও তার প্রতিবেদনে করোনার জীবাণু পায়নি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
এদিকে জেলায় হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে নতুন ২২ জনসহ ২৫৮ জনের। এছাড়াও নতুন দু’জনসহ এখনো হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে ১৭৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় যার সংখ্যা ছিল ১৮৯ জন। এখানে কমেছে ২০ জন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রবাসীদের মধ্যে সদরে ৪৮ জন, দৌলতখানে ১২ জন, বোরহানউদ্দিনে ১৫ জন, লালমোহনে ২৪ জন, তজুমদ্দিনে ৪২ জন ও মনপুরা উপজেলায় ১১ জন রয়েছেন।
অন্যদিকে, হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে এমন প্রবাসীদের মধ্যে সদরে ৭৬ জন, দৌলতখানে ৩৭ জন, বোরহানউদ্দিনে ৩২ জন, লালমোহনে ২৭ জন, চরফ্যাশনে ৩৭ জন, তজুমদ্দিনে ২৯ জন ও মনপুরা উপজেলায় ২০ জন।
ভোলার সিভিল সার্জ ডা. রতন কুমার ঢালী এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা সার্বিক পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। জেলার সব হাসপাতালে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) সরবরাহ করা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সর্বমোট ৪১১ পিপিই পেয়েছে। ওই সব পিপিই ব্যবহার করছে চিকিৎসক ও নার্সরা।
অপরদিকে দরিদ্রদের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভোলায় সাবান বিতরণ ও হ্যান্ড স্যানাটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া কার্যক্রম পরিচালনা করছে একদল সেচ্চাসেবী সংগঠন। অন্যদিকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে নৌবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২০
এসআরএস