বুধবার (০১ এপ্রিল) সকালে ওই দু’জনের নমুনা সংগ্রহ করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটেউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় ও অপর জনকে দিনগত রাতে হাসপাতালটিতে ভর্তি নেওয়া হয়।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার ওই দুইজন জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথা নিয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। প্রাথমিকভাবে তাদের দু’জনের উপসর্গ দেখে করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও জেলার দৌলতখানে আরও এক যুবককে আইসোলেশনে রাখা হলেও তার করোনা ধরা পড়েনি, তাই তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এদিকে জেলায় হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে নতুন সাত জনসহ ২৬৫ জনের। এছাড়াও নতুন দু’জনসহ এখনো হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ১৬৬ জন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রবাসীদের মধ্যে সদরে ৪৯ জন, দৌলতখানে ১২ জন, বোরহানউদ্দিনে ১৫ জন, লালমোহনে ২৪ জন, তজুমদ্দিনে ৪৩ জন ও মনপুরা উপজেলায় ১১ জন রয়েছেন।
অন্যদিকে হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে এমন প্রবাসীদের মধ্যে সদরে ৭৬ জন, দৌলতখানে ৩০ জন, বোরহানউদ্দিনে ৩২ জন, লালমোহনে ৩১ জন, চরফ্যাশনে ৩৭ জন, তজুমদ্দিনে ৩০ জন ও মনপুরা উপজেলায় ২০ জন।
সিভিল সার্জ ডা. রতন কুমার ঢালী আরও বলেন, জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা সার্বিক পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। জেলায় এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে ৪২৯ জনকে। জেলার সব হাসপাতালে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) সরবরাহ করা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সর্বমোট ৪১১ পিপিই পেয়েছে। ওইসব পিপিই ব্যবহার করছে চিকিৎসক ও নার্সরা।
করোনা সংক্রমণরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভোলায় সাবান বিতরণ ও হ্যান্ড স্যানাটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া কার্যক্রম করছে একদল সেচ্চাসেবী সংগঠন। অন্যদিকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে নৌবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
এসআরএস