জেলাটিতে আমেরিকা প্রবাসী দু’জন এবং তাদের সংস্পর্শে আসা আরও দু’জনসহ মোট চারজন ছাড়া নতুন করে কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি। এদের মধ্যে তিনজন গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ও অন্যজন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
বৃহস্পতিবার (০২ এপ্রিল) দুপুরে গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গাইবান্ধার বিভিন্ন স্থানে বিদেশফেরত ব্যক্তিদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার নতুন দু’জনসহ জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় রয়েছেন ১৯০ জন। এদের মধ্যে সন্দেহজনক রোগীদের রক্ত-কফ পরীক্ষার ফলাফল না জানা পর্যন্ত তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। এছাড়া ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন শেষে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১০ জন।
এদিকে, জেলায় অঘোষিত লকডাউন চলায় ব্যসায়ীদের পাশাপাশি চরম বিপাকে পড়েছেন সব শ্রেণী-পেশার মানুষ।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক (ডিসি) আব্দুল মতিন বাংলানিউজকে জানান, এ পর্যন্ত জেলার সাতটি উপজেলা ও চারটি পৌরসভায় ৯ হাজার ৪০০ দরিদ্র শ্রমজীবী পরিবারের মধ্যে ৯৪ মেট্রিক টন খাদ্যসামগ্রী ও ৮ হাজার ৯০০ পরিবারের মধ্যে ৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ভাণ্ডারে ১৪২ মেন্ট্রিক টন খাদ্যসামগ্রী ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মজুদ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২০
এসআরএস