রোববার (০৫ এপ্রিল) দুপুর দুইটায় মহাখালীর ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের মিলনায়তনে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে নমুনা সংগ্রহ চলছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, আমাদের যে স্বাস্থ্য কর্মসূচি, সেই কর্মসূচির মধ্যে একটি ভারসাম্য বজায় রেখে কাজ করতে হবে। সরকার অনেকটা চেষ্টা করছে। আমি একটা জিনিস খেয়াল করেছি, ট্রাকে করে মানুষ গাদাগাদি করে ঢাকা এসেছে। এই মানুষগুলো আবার যদি বাড়ি ফিরে তাহলে অবস্থা কেমন হবে। দেখেছি এদের কেউই মাস্ক পরেন নাই। আমরা এই ঘটনাগুলো থেকে শিক্ষা নেবো। কাউকে দোষারোপ করবো না।
‘গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন মসজিদে, বাজারে অবাধে ঘোরাঘুরি করছেন বহু মানুষ। এটা কিন্তু ঠিক না। সে নিজের ক্ষতি নিজে করছেন। নিজেকে নিরাপদ রাখার পাশাপাশি অন্যকেউও নিরাপদে রাখতে হবে। নিজের মাধ্যমে অন্যকে সংক্রমিত করা যাবে না। প্রত্যেকে প্রত্যেককে রক্ষা করবেন। এই মুহূর্তে আমরা জানি না, কাদের মধ্যে এই ভাইরাসটি আছে। কাদের পরীক্ষা প্রয়োজন। আমাদের পরীক্ষা আরও বাড়াতে হবে। আমরা পরীক্ষা বাড়ানোর ব্যবস্থা করছি। ’
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হলো ৯ জনের। আর নতুন করে ১৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ৮৮ জনে দাঁড়ালো। ঢাকার বাসাবো এলাকায় ৯ জন পাওয়া গেছে। মিরপুর অঞ্চলে পাওয়া গেছে ১১ জন। বাসাবো ও টোলারবাগ এই দুটি এলাকায় আমরা ক্লাস্টার আকারে রোগী পেয়েছি। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সবাই ক্লাস্টার এলাকায় আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫ ,২০২০
পিএস/এইচএডি/