শনিবার (১১ এপ্রিল) সকালে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে তাদের ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে তিনজন পুরুষ, দু’জন নারী ও একটি শিশু (৫) রয়েছে।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল) রাতে ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে দুই পরিবারের ছয় জন বাগেরহাটের নিজ বাড়িতে আসেন। সেসময় এলাকাবাসী তাদের বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ায়, রাস্তায় অবস্থান করেন তারা। পরে খবর পেয়ে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এদের মধ্যে একজনের জন্ডিস রয়েছে। বাকিদের করোনা বিষয়ক তেমন কোনো উপসর্গ নেই। তারপরও অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের জন্য আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন উপজেলা থেকেও কয়েকজনের নমুনা সংগ্রহ করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গত ৯ এপ্রিল ফকিরহাট উপজেলার থেকে নমুনা সংগ্রহ করা তিন জনের শরীরে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি মেলেনি বলে জানান ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে সদর উপজেলার একটি গ্রাম থেকে দুই পরিবারের ছয় জনকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের জন্ডিস রয়েছে। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে কয়েকজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের নমুনা খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হবে। প্রতিবেদন পেলে কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিষয়ে জানা যাবে।
এ পর্যন্ত বাগেরহাটের ২০ জনের নমুনার পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এদের কারও শরীরে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলেও জানান জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২০
এসআরএস