সোমবার (১৩ এপ্রিল) আইসিসিবির ট্রেড সেন্টারে সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন হাসপাতাল স্থাপনের কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান মোল্লা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (ঢাকা সিটি বিভাগ) মো. মাসুদুল আলম, ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এমএম জসীম উদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি সাপেক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সেনাবাহিনীর একটি দল পরির্দশন করে হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। স্থান সংকুলানের হিসাব-নিকেশে সেখানে দুই হাজার ৭১ শয্যার হাসপাতাল স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, এক্সপো ট্রেড সেন্টার ও আরও তিনটি কনভেনশন হলে মোট দুই হাজার আইসোলেশন বেড স্থাপন করা হবে। ৪৬ হাজার স্কয়ার ফুটের কনভেনশন হলটিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন সাপেক্ষে ৭১টি নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) স্থাপন করা হবে।
আশা করছি, ১৫ দিনের মধ্যে এখানে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম শুরু করতে পারবো। আইসিইউর কিছু বেড আমদানি করতে হবে। যে কারণে এটি দেরি হতে পারে। এখানে টয়লেট অপ্রতুল ছিল। টয়লেট তিনটি ব্লক করা হয়েছে ও কাজ চলছে।
ঢাকার সবগুলো মার্কেট বন্ধ থাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় দোকানপাট খুলে মালপত্র কেনা হচ্ছে। পরে পুলিশের পাহারায় এখানে আনতে হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে আমরা একটা প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করছি। তা নাহলে কাজের অগ্রগতি আরও বেশি হত। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এমএম জসীম উদ্দিন বলেন, ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় হাসপাতাল স্থাপনের কাজ পঞ্চম দিনের মত চলছে। আমরা আশা করছি, ১৫ দিনের মধ্যেই এই কাজ সম্পন্ন করতে পারবো। সম্ভব নাহলে আরও দু-একদিন বেশি লাগতে পারে। কারণ এই সংকটের মধ্যে নির্মাণসামগ্রী সংগ্রহ ও আনা একটি জটিল হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আইসিসিবির প্রকৌশল বিভাগও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। আশা করছি, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া শুরু হবে। কনভেনশন হলগুলো প্রস্তুত করাই আছে। শুধু বেড স্থাপন করতে হবে। ট্রেড সেন্টারটি হাসপাতালের জন্য যেসব কাজ করা দরকার তার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২০
এসই/এএটি