আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা ও ছয় কর্মচারী, একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক ও সদর উপজেলার স্যানিটাইজার কর্মকর্তাও রয়েছেন।
সোমবার দুপুরে বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন।
জেলা করোনা প্রতিরোধ জরুরি সেলের প্রধান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ইমরুল কায়েস বাংলানিউজকে বলেন, রোববার (১২ এপ্রিল) নরসিংদী থেকে করোনা উপসর্গ সন্দেহভাজন ২৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়। এদের মধ্যে সোমবার ১৬ জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একজন চিকিৎসকসহ সাতজন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের, একজন সদর উপজেলা স্যানিটাইজার কর্মকর্তা, একজন সাংবাদিক ও একজন মনোহরদী উপজেলারসহ মোট ১৬ জন। আক্রান্তদের আইসোলেশনে নেওয়া হবে। এর আগেও ১১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে তিন জনের করোনা শনাক্ত হয়, আর ঢাকায় এক জনসহ সব মিলিয়ে মোট চারজন ছিল। এনিয়ে জেলাটিতে করোনা আক্রান্ত রোগী মোট ২০ জন।
এদিকে নরসিংদী শহরের বাসাইল এলাকার ১০০ শয্যার জেলা হাসপাতালকে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন বাংলানিউজকে বলেন, শিগগিরই ১০০ শয্যার হাসপাতালটিতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা শুরু করা হবে। ফলে ১০০ শয্যার সাধারণসহ সব রোগীদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে। এজন্য হাসপাতালটিতে নতুন কোনো রোগী ভর্তি নেওয়া হবে না। বর্তমানে যারা চিকিৎসাধীন, তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। তবে নতুন যারা আসবেন তাদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। তারা সেখান থেকে সব রোগের চিকিৎসা পাবেন। সেখানে অপারেশনসহ সব চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।
নরসিংদী জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকতে হবে। বাইরে বের হলে পরিস্থিতি খারাপ হবে। তবে সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখাটাই এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২০
এসআরএস