কিন্তু রোগী ও তার স্বজনরা এসবের কোনো তোয়াক্কাই করলেন না। ১৪ এপ্রিল সকালে বারডেমের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক সেন্টারে চলে আসেন ওই তথ্য গোপন করে।
রোগের ইতিবৃত্ত নেওয়ার সব পর্যায়েও বিষয়টি গোপন করেন কাশেম। এরপর তার এক্স-রে দেখে ডাক্তারদের সন্দেহ হলে, তখনও তা গোপন করেন। পরবর্তীতে রাত ১০টার দিকে রোগী ও তার স্বজনরা স্বীকার করেন করোনা পজেটিভের কথা।
এরপর তাকে করোনার চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কুর্মিটেলা জেনারেল হাসাপাতালে পাঠানো হলে পথেই মৃত্যু হয় কাশেমের।
জানা গেছে, ইব্রাহিম কার্ডিয়াকের ওই রোগীর সংস্পর্শে যাওয়া সবাইকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। এমনকি দুইদিন পর তাদের সবার করোনা টেস্টও করা হবে। এদিকে, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট আইসিইউটি। তবে আরেকটিতে সেবা চলছে। এছাড়া অন্য সেবা কার্যক্রমও স্বাভাবিক রয়েছে।
ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিন। এভাবে দিনদিন বাড়ছে ডাক্তারদের আক্রান্ত হওয়ার হার। বাড়ছে তাদের মধ্যে শঙ্কাও।
বারডেমের একজন চিকিৎসক বলছেন, অনেক কষ্ট করে আমরা রোগীর সেবা কার্যক্রম চালু রেখেছি। এভাবে একের পর এক হাসপাতাল ক্লোজড হচ্ছে রোগীদের তথ্য গোপন রেখে চিকিৎসা নিতে আসায়। কীভাবে আমরা সেবা অব্যাহত রাখব?
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২০
ইইউডি/টিএ