বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) রাতে জেলার সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নতুন আক্রান্ত হওয়া ৫ জনের মধ্যে ৩ জন বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী এবং বাকি দুইজনও একই উপজেলার ভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
ধারণা করা হচ্ছে এর আগে এ হাসপাতালে করোনা শনাক্ত হওয়া একজন রোগীর শরীর থেকে এ ভাইরাস স্বাস্থ্যকর্মীদের শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই রোগী মারামারিতে আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে চিকিৎসকদের সন্দেহ হলে ওই রোগীসহ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক নার্স ও এক অফিস সহকারীসহ (চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী) ২ স্বাস্থ্যকর্মীর নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়।
সিভিল সার্বজন জানান, গত ১৩ এপ্রিল প্রাপ্ত রিপোর্টে তাদের তিনজনের দেহেই করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। এরপর স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি লকডাউন করার পাশাপাশি সংশ্লিল্টদের আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় এবং আরো কয়েকজনের নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। যে পরীক্ষার পর বৃহস্পতিবার রিপোর্টে তিনজনের শরীরে করোনার উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুভাষ সরকার জানান, করোনা শনাক্ত হওয়া তিনজনের মধ্যে একজন ব্রাদার (নার্স), একজন অফিস সহায়ক ও একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী রয়েছেন।
বরিশাল অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট রাজিব আহমেদ জানান, এ পর্যন্ত বরিশালের বাবুগঞ্জ, গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, মেহেন্দিগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ, হিজলা ও মুলাদীতে মোট ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এরমধ্যে মুলাদীর ব্যক্তির মৃত্যুর পরে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হলে, তা পজেটিভ আসে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২০
এমএস/এএটি