শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে আইসিসিবি প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম জসীম উদ্দিন।
পরিদর্শন শেষে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে জসীম উদ্দিন বলেন, নির্ধারিত সময়ের পাঁচদিন আগেই এখানে পূর্ণাঙ্গরূপে হাসপাতাল তৈরি হয়ে যাবে।
দেশের সবচেয়ে বড় কনভেনশন হলকে হাসপাতালে রূপ দিতে প্রয়োজনীয় উপকরণ ও সরঞ্জামাদি চলে এসেছে আইসিসিবিতে। হাসপাতালের বিছানা, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের বিভিন্ন সরঞ্জাম ও বিদ্যুতের জন্য সাব স্টেশনও চলে এসেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, হাসপাতাল নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বসুন্ধরা গ্রুপের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ভিত্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সেনাবাহিনীর একটি দল পরির্দশন করে পরবর্তীসময়ে এটাকে অস্থায়ী হাসপাতাল বা আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। কোভিড-১৯ বিপর্যয় শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সরকারের যতদিন ব্যবহারের প্রয়োজন শেষ না হবে ততদিন আইসিসিবিকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে এখানে দুই হাজার ৭১ শয্যার অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করার জন্য কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। তবে প্রয়োজন দেখা দিলে এটিকে পাঁচ হাজার শয্যায় রূপান্তর করা যাবে। এ কার্যক্রম শুরু হয়ে গেলে বাংলাদেশে এটিই হবে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য বৃহত্তম সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২০
এসএইচএস/এএ