সম্প্রতি এই হাসপাতালকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতাল করতে ‘করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটি’র আলাচনা সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে এমন খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়।
এ বিষয়ে হাসপাতালটির পাশে থাকা বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শহরে এতো জায়গা থাকার সত্ত্বেও গুরুত্বপূর্ণ এই ঘনবসতি স্থানে করোনার হাসপাতাল আমাদের জন্য ঝুঁকিপর্ণ হয়ে দাঁড়াবে। এতে মহামারি আরও বাড়তে পারে। শহরের আশেপাশে নিরিবিলি জায়গায় এ হাসপাতাল করা হোক। এতে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি সাধারণ মানুষকে আক্রমণ করতে পারবে না।
জেলা সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য আব্দুন নূর বাংলানিউজকে বলেন, সিদ্ধান্তটি বিবেচনা করা প্রয়োজন। যেহেতু হাসপাতালটির অবস্থান লোকালয়ে সে কারণে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি থেকে যায়।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, জেলাবাসীর জনস্বাস্থ্যকে ঝুঁকিমুক্ত করতেই এই হাসপাতালকে নির্বাচন করা হয়েছে। এখানে করোনা রোগীদের চিকিৎসার কার্যক্রম শুরু হলে হাসপাতালের পুরো এলাকাকে সংরক্ষিত করা হবে। ডাক্তার নার্স রোগী ছাড়া এখানে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না বাইরেও যেতে পারবে না। অন্যত্র খোলা-মেলা জায়গায় দিলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর করোনা চিকিৎসার জন্য যে ধরনের অবকাঠামো প্রয়োজন তা সদর হাসপাতালেই করা সম্ভব। এখানে আইসিইউ বানাতে হবে। সবদিক মিলিয়ে করোনা প্রতিরোধে জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অন্য জেলায়ও এভাবেই হচ্ছে। তবুও সবার আপত্তির বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২০
এনটি