শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনেই ১৩টি নমুনা আসে। যবিপ্রবি জিনোম সেন্টারে বৃহত্তর যশোরের চার জেলার (যশোর, নড়াইল, মাগুরা ও ঝিনাইদহ) করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হবে।
যবিপ্রবি জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ বাংলানিউজকে বলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য দুটি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রত্যেক টিমে চারজন বিশেষজ্ঞ ও দুইজন ল্যাব টেকনোলজিস্ট আছে।
প্রথম ১৪ দিন কাজ করবেন জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. হাসান আল ইমরান ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাজিদ হাসান, ল্যাব টেকনোলজিস্ট মাসুদুর রহমান ও দীপংকর চক্রবর্তী।
প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ আরও বলেন, আমরা দুটি টিমে ভাগ করেছি। প্রথম টিম ১৪ দিন কাজ করার পর কোয়ারেন্টাইনে চলে যাবে। এরপর দ্বিতীয় টিম কাজ করবে। পর্যায়ক্রমে দুটি টিম কাজ করবে। বৃহত্তর যশোরের চারটি জেলার নমুনা পরীক্ষার দায়িত্ব পেয়েছি আমরা। প্রথম দিন শুক্রবার যশোরের সিভিল সার্জনের কাছ থেকে ১৩টি নমুনা পেয়েছি। পরীক্ষা শেষে ফলাফল সিভিল সার্জন ও আইইডিসিআর এর কাছে পাঠিয়ে দেবো। তারাই ফলাফল ঘোষণা করবেন।
এদিকে রাতে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বাংলানিউজকে বলেন, যশোর জেলার ১৩টি নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য যবিপ্রবিতে পাঠানো হয়েছিল। তা ইতোমধ্যে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে সবগুলো রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ফলে প্রথম দিনে কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন জানান, যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। এর বেশিও নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা ও জনবল আছে। তবে এটা নমুনা সরবরাহের ওপর নির্ভর করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২০
ইউজি/আরআইএস/