সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে পিসিআর মেশিন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন শজিমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম এম সালেহ ভূঁইয়া।
শজিমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কারোনা পরীক্ষার ল্যাবের জন্য ১৭ জন চিকিৎসক ও ১১ জন টেকনোলজিস্টকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
বগুড়ার কারোনা পরীক্ষার ল্যাবে প্রতিদিন ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। নমুনা পরীক্ষার জন্য ইতোমধ্যে ১ হাজার ৮টি কিট, ৫০০ পিস পারসোনাল প্রটেকশন ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) ও মাস্ক পাওয়া গেছে। এখানে নমুনা পরীক্ষার পর তার রিপোর্ট পাঠানো হবে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর)। সেখান থেকে রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।
ল্যাব উদ্বোধনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন শজিমেক হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল, বগুড়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফয়েজ আহাম্মদ, পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আশরাফ ভূঁঞা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সিভিল সার্জন ডা. গাওসুল আজিম চৌধুরী, জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. সামির হোসেন মিশু প্রমুখ।
শজিমেকের অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল বাংলানিউজকে বলেন, গত শনিবার (১৮ এপ্রিল) থেকে এ পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে করোনা টেস্ট করার কথা ছিল কিন্তু কিছু টেকনিক্যাল কারণে তা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, ল্যাব উদ্বোধনের প্রথম দিনেই তিনটি নমুনা পরীক্ষার মধ্যদিয়ে পিসিআর মেশিনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিদিন এখানে ৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, বগুড়া ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট, নওগাঁ ও সিরাজগঞ্জ জেলায় করোনা আক্রান্ত সন্দেহে যাদের নমুনা পাঠানো হবে তাদেরও পরীক্ষা এখানে করা যাবে।
উল্লেখ্য, এর আগে বগুড়ার রোগীদের করোনার নমুনা পরীক্ষা সংগ্রহ করে বিশেষ ব্যবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের (রামেক) ল্যাবে পাঠানো হতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২০
কেইউএ/আরআইএস/