সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইডিসিআর) দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশে কর্মক্ষম ব্যক্তিরাই করোনায় বেশি আক্রান্ত। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে তরুণরা।
বুধবার (২২ এপ্রিল) পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৭৭২ জন। এদের মধ্যে ৯০৫ জন আক্রান্তের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। যা মোট আক্রান্তের ২৪ শতাংশ।
৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩০ জন। যা মোট আক্রান্তের ২২ শতাংশ।
৬৭৯ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। যা মোট আক্রান্তের ১৮ শতাংশ।
আবার ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬৬ জন। যা মোট আক্রান্তের ১৫ শতাংশ।
অর্থাৎ ২১ থেকে ৬০ বছর বয়সী মোট আক্রান্ত ২ হাজার ৯৮০। যা মোট আক্রান্তের ৭৯ শতাংশ।
১০ বছর বা তার নিচের বয়সীদের আক্রান্তের সংখ্যা ১১৩ জন। যা মোট আক্রান্তের ৩ শতাংশ।
১১ থেকে ২০ বছর বয়সী আক্রান্তের সংখ্যা ৩০২ জন। যা মোট আক্রান্তের ৮ শতাংশ। আর ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছে ৩৭৭ জন। যা মোট আক্রান্তের ১০ শতাংশ।
অন্যদিকে মোট আক্রান্তের ৬৮ শতাংশই হচ্ছে পুরুষ। আর নারীদের আক্রান্তের হার ৩২ শতাংশ। অর্থাৎ এ পর্যন্ত পুরুষ আক্রান্ত ২ হাজার ৫৬৫ জন এবং নারী আক্রান্ত ১ হাজার ২০৭ জন। এ পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ১২০ জন। আর প্রাতিষ্ঠানিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯২ জন।
বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যায়, ইতালি, স্পেন, ইরান, ফ্রান্স, আমেরিকা, যুক্তরাজ্যে তরুণ ও কর্মক্ষমদের আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। কেবল জার্মানিতে বয়স্করা তুলনামূলক বেশ কম হারে আক্রান্ত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২০
ইইউডি/এইচএডি/