বুধবার (২২ এপ্রিল) ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর কারণ হচ্ছে রোগীরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়েছেন।
তিনি জানান, বিশ্বের পাশাপাশি আমাদের দেশেও করোনা িভাইরাস প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করে বলেছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এলে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে সুস্থ মানুষের শরীরে। এ কারণে হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা অবস্থায় কোনো রোগী মারা গেলে মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রোগীর নমুনা পরীক্ষার পরে যদি নেগেটিভ আসে তাহলে সরাসরি পরিবারের কাছে নিয়ম অনুযায়ী মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। আর যদি করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় পজেটিভ আসে নিয়ম অনুযায়ী মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, কোনো মরদেহে যদি ভাইরাস থেকে থাকে, আমরা পরীক্ষা ছাড়া মরদেহটি হস্তান্তর করলাম সেটা অনেক বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়। যেমন ধরুন মরদেহটা যে বহন করে নিয়ে যাবে তাদের ঝুঁকি তো আছেই, এছাড়া যেখানে নিয়ে যাবে সেখানে আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশীরও ঝুঁকিতে থাকবে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ১৮টি মরদেহ ঢামেকের জরুরি বিভাগ মর্গে জমা হয়েছিল। মরদেহগুলো থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া এটা একটু সময়ের ব্যাপার। এজন্য মরদেহগুলো জমে গিয়েছিল। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের করোনা পজিটিভ ছিল তাদের নিয়ম অনুযায়ী দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া অন্য মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন জানান, সর্বশেষ আমাদের কাছে ফাইনাল নির্দেশনা এসেছে ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিট করোনা ইউনিটের প্রস্তুত করতে। এ নির্দেশনা মোতাবেক ঢামেক বার্ন ইউনিট মোটামুটি খালি করা হয়েছে। আশা করি আগামী শনিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে সেখানে করোনা রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা হবে। বার্ন ইউনিটের সব রোগীকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২০
এজেডএস/আরআইএস/