বুধবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেবা উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর গ্রাম পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক এর মাধ্যমে সেবা পৌঁছে দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, আইইবির টেলিমেডিসিন সেবার উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ এবং অভিনন্দন জানাই। আইইবি'র এ সুন্দর উদ্যোগের ফলে দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে যে কেউ শুধু মাত্র নিদিষ্ট নম্বরে কল করে সেবা নিতে পারবেন। এসময় মন্ত্রী আইইবিকে এ সেবা একটি অ্যাপের মাধ্যমে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। সে ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগীর আশ্বাসও দেন তিনি। পরে মন্ত্রী টেলিমেডিসিন সেবার হটলাইন নম্বরে কল করে এ সেবার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সে সভাপতির বক্তব্যে আইইবি'র প্রেসিডেন্ট এবং আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, কোভিড-১৯/ করোনা মহামারির মধ্যেও প্রকৌশলীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জরুরি পরিষেবা যেমন পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট ইত্যাদি সচল রেখেছেন। এছাড়াও আমাদের পরিবারের ডাক্তার সদস্যরা সম্মিলিতভাবে এগিয়ে এসেছেন টেলিমেডিসিন সেবা দিতে।
এসময় ভিডিও কনফারেন্সে আইইবি'র প্রেসিডেন্ট এবং আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুরের সভাপতিত্বে আরো যুক্ত ছিলেন আইইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, আইইডিসিআর এর সাবেক পরিচালক ডা. মো. ইউসুফ, ইএনটি বিশেষজ্ঞ লেফটেন্যান্ট কর্নেল ডা. বশির আহমেদ, অর্থোপেডিক সার্জন ডা. সাইফুদ্দিন আহমেদ, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সাঈদা মাকসুদা মোর্শেদ, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রোকেয়া খাতুন, ডা. রুমানা আক্তার প্রমুখ।
এ মহামারি করোনা যুদ্ধে প্রকৌশলী পরিবারের ডাক্তার সদস্য নিয়ে আইইবি টেলিমেডিসিন সেবা চালু করেছে। দেশের যে কেউ ০৯৬১১৮৮৮১১১ নম্বরে ফোন দিয়ে টেলিমেডিসিন সেবা নিতে পারবেন প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। যেখানে পর্যায়ক্রমে ৩৪ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বিনামূল্যে সেবা দেবেন। ডাক্তাররা প্রতিদিন ১ ঘণ্টা করে রোস্টারিং এর মাধ্যমে সেবা দেবনে। পরবর্তীতে কোনো রোগী যদি তার কোন টেস্ট রিপোর্ট ডাক্তারকে দেখাতে চান তাহলে telemedicine@iebbd.org এই মেইলে সাবজেক্টে ডাক্তারের নাম/কোড লিখে রিপোর্ট অ্যাটার্চ করে ইমেইল করবেন। সংশ্লিষ্ট ডাক্তার সময়ানুযায়ী পেসেন্টের রিপোর্ট দেখে পরবর্তী করনীয় ঠিক করে দেবেন। এছাড়া অবাঞ্চিত কল এলে সিস্টেম থেকে নম্বর ব্লক করে দেওয়া হবে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নিয়ে বলা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২০
এমএইচ/আরআইএস/