বিকল্প উপায় না থাকায় লক্কর-ঝক্কর অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে রোগীদের আনা-নেওয়া হচ্ছে। করোনার এমন পরিস্থিতিতে ওই অ্যাম্বুলেন্সে চিকিৎসকদের ‘কুইক রেসপন্স টিম’ রোগীদের বাড়ি গিয়ে ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সাল থেকে এ অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে কমলনগরবাসীকে সেবা দেওয়া হচ্ছে। গুরুতর রোগীর সেবায় প্রায় প্রতিদিনই লক্ষ্মীপুর সদর ও নোয়াখালীতে যেতে হয়। একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্সে দীর্ঘ ২১ বছর ধরে চলতে থাকায় এখন ব্যবহার অনুপযোগী। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গতি কম; যে কারণে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় না।
অ্যাম্বুলেন্সচালক মো. রাসেল বাংলানিউজকে জানান, বছরের পর বছর টানা ব্যবহারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সটি এখন ব্যবহার অনুযোগী। তবুও লক্কর-ঝক্কর দিয়ে চলছে সেবা। এটি প্রায় রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উপযোগীও নয়।
তিনি আরও জানান, অ্যাম্বুলেন্সটিতে ঢুকছে বালু, নেই এসি, ইঞ্জিনে নানা ত্রুটি। সম্প্রতি রোগী নিয়ে লক্ষ্মীপুর যাওয়ার পথে ভবানীগঞ্জ চৌঁরাস্তায় পৌঁছুলে বিকল হয়ে পড়ে অ্যাম্বুলেন্সটি। ওই সময় রাস্তায় রোগী নিয়ে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে হয়েছে।
কমলনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক সাগর বাংলানিউজকে বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলন্সটি ব্যবহার অযোগ্য। এটি মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। জরুরি সেবায় এখানে একটি আধুনিক মানের অ্যাম্বুলেন্স খুবই প্রয়োজন। উপকূলীয় এ জনপদের মানুষের কল্যাণে স্বাস্থ্যবিভাগ দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন এমনটাই প্রত্যাশা করছি।
কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু তাহের বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নিত হয়েছে। দিন দিন রোগীর চাপ বাড়ছে। কিন্তু এখানকার অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ায় জরুরি সেবায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২০
এসআর/এএটি