বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল আটটা পর্যন্ত এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩২ জন বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
আইইডিসিআর বলছে, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ঢাকা মহানগরীতে।
এরপরে যথাক্রমে নরসিংদীতে ১৪১, ময়মনসিংহে ৬৮, মুন্সিগঞ্জে ৬৩, ঢাকা জেলায় ৫৩, চট্টগ্রামে ৪৫, গোপালগঞ্জে ৪০, বরিশালে ৩৪, জামালপুরে ৩০, মাদারীপুরে ২৮ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আইইডিসিআরের তথ্যে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩৮২ জন। যা মোট আক্রান্তের ৩৮.৪৯ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৯ জন। যা মোট আক্রান্তের ৪.১৫ শতাংশ। ময়মনসিংহ বিভাগে ১৩৯ জন, বরিশাল বিভাগে ৭৪ জন, রংপুর বিভাগে ৬৩ জন, খুলনায় ৩৭ জন, সিলেট বিভাগে ৩৩ জন ও রাজশাহী বিভাগে ৩১ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে রাজধানীর মহাখালীর ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের মিলনায়তনে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও ৪১৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৭ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ হাজার ১৮৬ জনে। মোট মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে হলো ১২৭ জন। এসময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১০৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করেছি ৩ হাজার ৯২১টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ হাজার ৪১৬টি। এ পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৯০টি। মৃত ৭ জনের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, বাকি ২ জন নারী। এদের সবাই ঢাকার বাসিন্দা।
তিনি আরও বলেন, একমাস আগে আজকের দিনে আক্রান্ত ছিল মাত্র ৬ জন। আজকে একমাস পর একইদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৮৫.২৬ শতাংশই ঢাকা সিটি এবং ঢাকা বিভাগের। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১২৩ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন ৯৯৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে এসেছেন ৩ হাজার ৪২৯ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন ৫৪৮ জন। মোট কোযারেন্টিনে এসেছেন ৩ হাজার ৯৭৮ জন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২০
ইএস/এইচএডি