বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, জেলা আইসোলেশন সেন্টারটি পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলী আহসানকে আহ্বায়ক, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়াকে সদস্য সচিব এবং অপর ছয় উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে সদস্য করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি এটি ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে।
তিনি বলেন, এখন থেকে করোনা ভাইরাস পজেটিভ সব রোগীকে প্রাথমিকভাবে এ সেন্টারে রাখা হবে। তবে রোগীর অবস্থা খারাপ হলে তাদের অন্যত্র স্থানান্তর করা হবে।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান, গত ২৪ এপ্রিল কক্সবাজার সদরে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগীকে এ হাসপাতালে আনা হয়। এরপর টেকনাফে তিনজন, কক্সবাজার পৌরসভার আরও একজনসহ মোট পাঁচজনকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছিল। সর্বশেষ গত ২৫ এপ্রিল মহেশখালীতে নতুন করে আক্রান্ত পাঁচজনকেও এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে মোট ১০ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে এ আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ জন। এদের মধ্যে প্রথম রোগীটি ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকি তিনজনের চিকিৎসাসেবা চলছে মহেশখালী উপজেলা হাসপাতালে। গত ১৯ এপ্রিল থেকে এ তিন করোনা রোগী মহেশখালীতে ভর্তি হওয়ায় তাদের রামুতে আনা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২০
এসবি/আরবি/