রোববার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে কয়েকজন রোগীকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে দেখা যায়। তবে বহির্বিভাগে লম্বা লাইনের তেমন কোনো রোগী দেখা যায় নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল এখন যেন এক সুনসান নিরবতা। হাসপাতাল কম্পাউন্ডে নেই ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টিভ, নেই ক্লিনিকের দালাল, নেই রোগীর আত্মীয় স্বজনের জটলা, নেই নানান রোগে আক্রান্ত বহির্বিভাগের সামনে হাজার খানেক রোগীর লম্বা সিরিয়াল। মাঝে মধ্যে দেখা মেলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে এক দুইজন রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে ফিরছেন।
সদর উপজেলার দিঘী ইউনিয়নের সন্ধা রানী বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি মাসে হাঁটু ও গ্যাস্ট্রিকের কারণে হাসপাতালে আসতে হয়। করোনার কারণে গত এক মাস হাসপাতালে আসি নাই। তবে হাঁটু ব্যথা বেড়ে যাওয়ার ফলে আজ আসছি। তবে ডাক্তাররা আগের মতো যত্ন না করে দেখেই ওষুধের নাম লিখে দিল।
আসমা নামে আরও এক নারী বলেন, আমার ছয় মাসের ছোট বাচ্চা নিয়া হাসপাতালে আসছি সকাল বেলা। ডাক্তার আসছে কিন্তু তারা রোগী দেখতে কেমন কেমন যেন করে। অনেক দূর থেকে রোগী দেখে ওষুধের নাম লিখে দিচ্ছে।
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশেদ উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বহির্বিভাগ খোলা এবং জরুরি বিভাগ ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় উপজেলাগুলো থেকে কোনো রোগী আসছে না হাসপাতালে। এছাড়া জরুরি বিভাগে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চিকিৎসকরা রোগী দেখছেন এবং রোস্টার অনুযায়ী চিকিৎসকদের ডিউটি ভাগ করে দেওয়া হয়েছে করোনা সংক্রমণের কারণে যাতে কোনো চিকিৎসকের করোনা পজেটিভ হলে তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে রেখে অন্য চিকিৎসক দিয়ে এই সেবা দেওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২০
এনটি