নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালটি রাখা হয়েছে করোনা ব্যতিত সব সাধারণ রোগীর চিকিৎসার জন্য। এখানে ইনডোর-আউটডোর সব সেবা অব্যাহত রয়েছেন। আর করোনা আক্রান্ত কিংবা করোনার উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের জন্য শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেখানেই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে করোনার উপসর্গ নিয়ে সদর জেনারেল হাসপাতালে আসা অনেক রোগীই সেটি মানতে নারাজ। তারা চিসিৎসকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে থাকেন। প্রায় প্রতিদিনই এমন হট্টগোল চলে হাসপাতালটিতে।
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে বাংলানিউজকে এমন কথাই জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. আসাদুজ্জামান।
তিনি জানান, এখানে করোনার উপসর্গ নিয়ে সাধারণ রোগী হিসেবে উপস্থিত হন অনেকেই।
তারা তাদের উপসর্গও অনেক সময় গোপন করেন। তাদের এ গোপনের কারণে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে এখানের ১২ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। সিভিল সার্জন অফিস ও জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের এ হাসপাতালকে সাধারণ রোগের চিকিৎসার জন্য নির্ধারণ করে খানপুরকে করোনা রোগীদের জন্য ডেডিকেটেড করা হয়েছে। সেখানে করোনা রোগীদের চিকিৎসা ও নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
প্রতিদিন এমন রোগীরা এখানে এলে আমরা তাদের বিনয়ের সঙ্গে খানপুর হাসপাতালে যেতে অনুরোধ করি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তারা চিকিৎসকদের পর্যন্ত মারার জন্য তেরে আসেন। বুধবার (২৯ এপ্রিল) এমন ঘটনা ঘটেছে। অনেক বুঝানোর পরেও তাদের খানপুরে পাঠানো যায় না। তারা এখানেই চিকিৎসাসেবা দিতে জোর করেন। প্রতিদিন এহেন পরিস্থিতি এখানকার দায়িত্বরতদের মোকাবিলা করতে হয়।
তিনি করোনার উপসর্গ নিয়ে এখানে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা সবাইকে অনুরোধ করেন, যেন তারা উপসর্গ গোপন না করে খানপুরে করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে যান। এতে করে একদিকে যেমন তাদের সঠিক চিকিৎসা ও টেস্ট হবে। অপরদিকে এ হাসপাতালে আসা অন্যান্য রোগীদের নির্বিঘ্নে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবে। তাদের কারণে যেন সাধারণ রোগীরা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকেও তাদের নজর রাখতে অনুরোধ করেন ডা. আসাদুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২০
ওএইচ/
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।