শুক্রবার (১ মে) দুপুরে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষের মৃদু সংক্রমণ হয়।
তিনি বলেন, যারা কোয়ারেন্টিনে আছেন তারা কোনো অসুস্থ রোগী না। তারা পজিটিভ রোগীর কাছাকাছি এসেছে। তাই তাদের কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে।
নাসিমা সুলতানা বলেন, যারা কোভিড-১৯ শনাক্ত হয় তারা কোনো দোষী ব্যক্তি না। তারা কোনো অপরাধী ব্যক্তি না। কিন্তু কোনো কোনো জায়গায়, কোনো কোনো সমাজে, কোনো কোনো পাড়ায়, মহল্লায় আক্রান্ত ও শনাক্ত ব্যক্তিকে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। তার পরিবারের মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। এটা আসলে ঠিক না। আপনারা মানবিক হোন। যারা কোভিড-১৯ আক্রান্ত ও শনাক্ত হচ্ছেন তাদের কোনোভাবেই হেয় করা যাবে না। তাদের পরিবারকে কোনোভাবেই হেয় করা যাবে না। কারণ যেকোনো সময় আপনি নিজেও আক্রান্ত হতে পারেন।
'আমাদের সামাজিকভাবে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন চলছে। এটা সামাজিকভাবে সংক্রমিত হচ্ছে। আজ যে নেগেটিভ আছে, কাল আপনার পজিটিভ হবে না এটার কোনো গ্যারান্টি নেই। কারণ আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছি না। আমরা শারীরিক দূরত্ব মেনে চলছি না। কাজেই কাউকে হেয় করবেন না। কারো সঙ্গে অপরাধীর মতো আচরণ করবেন না। ’
তিনি অনুরোধ করে বলেন, কভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোনোভাবেই হেয় করা যাবে না। অপরাধীর মতো আচরণ করা যাবে না। অন্য যেকোনো অসুখের মতো এটাও একটা অসুখ। এটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভালো হয়ে যায়।
নাসিমা বলেন, সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে নয় হাজার ৭৩৮টি। ঢাকার ভিতরে আছে তিন হাজার ৯৪৪টি। ঢাকা সিটির বাইরে পাঁচ হাজার ৭৯৪টি শয্যা আছে। আইসিইউ সংখ্যা আছে ৩৪১টি, ডায়ালসিস ইউনিট আছে ১০২টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা হয়েছে ১৭০ জন। আর নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫৭১ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ২৩৮ জন। নতুন করে সুস্থ হয়েছে ১৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৭৪ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মে ০১, ২০২০
পিএস/এএ