এখন কোভিড-১৯ দুর্যোগকালীন সাধারণ মানুষের পুষ্টির ব্যাপারে ভ্রান্ত ধারণা দূরীকরণসহ সঠিক তথ্য দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সমন্বয়ে শিশুখাদ্যের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি অনুমোদিত এই পুষ্টিবার্তা জনস্বার্থে প্রচার করবে বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ।
তথ্য বার্তায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রমণে সম্ভাব্য/শনাক্তকৃত মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ পান করাতে পারবেন। জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের দুধ দেওয়া শুরু করবেন এবং জন্মের ৬ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ পান করাবেন।
হাঁচি-কাশিজনিত শিষ্টাচার মেনে চলুন এবং মাস্ক পরুন। শিশুকে দুধ পানের আগে-পরে এবং শিশুকে স্পর্শ করার আগে হাত ভালো করে সাবান ও পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধুয়ে অথবা অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। যেসব স্থানে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত মায়ের সংস্পর্শে এসেছে সেসব জায়গা বা ব্যবহৃত আসবাবপত্রের উপরিতল নিয়মিতভাবে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করুন।
গুরুতর অসুস্থতার কারণে মায়ের দুধ পান করানো, বের করা সম্ভব না হলে দাই-মা বা কোনো স্তন্যদানকারী নারীকে খুঁজে বের করে দুধ পান করাতে উৎসাহিত করুন। এগুলোর কোনোটি সম্ভব না হলে রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মায়ের দুধের যথাযথ কোনো বিকল্প ব্যবহারের সম্ভাব্যতা খুঁজে বের করুন এবং পরবর্তী সময়ে মা সুস্থ হলে শিশুকে পুনরায় মায়ের দুধ খাওয়ানো শুরু করুন।
শিশু যদি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয় এবং মায়ের দুধ পানে সমর্থ হয় তবে শিশুকে তার চাহিদা অনুযায়ী বারে বারে মায়ের দুধ পান করতে দিন। এক্ষেত্রে সংক্রমণে রোধে মা দরকারি পদক্ষেপ ও প্রয়োজনে রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২০
এমআইএইচ/এএটি