ফুল হাতে পেয়েছেন ডা. মেহেদি হাসানসহ পাঁচজন। করোনা আক্রান্ত হয়ে ছিলেন হাসপাতাল আইসোলেশনে।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আইসোলেশন সেন্টার থেকে তাদের বিদায় জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সুস্থ হয়ে ওঠা ডা. মেহেদি হাসান বলেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ৩০ এপ্রিল হাসপাতাল আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি হই। বুকে ব্যাথা ও জ্বর ছিল। পাশাপাশি মাইল সিম্পটমস ছিল। বিশ্ব স্থাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী হাসপাতাল থেকে যে ওষুধ দেওয়া লাগে সেগুলো দেওয়া হয়েছে। এরপরও বাড়তি সাবধানতা স্বরূপ একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার পাশে রাখা ছিল যদি শ্বাসকষ্ট হয়।
তিনি বলেন, করোনা হলেই যে মানুষ মারা যায়, এটা ঠিক না। এ রোগে আক্রান্ত ৮০ ভাগ মানুষ সুস্থ হচ্ছেন। ২০ ভাগ হয়তো নানা সিম্পটমসের কারণে মারা যাচ্ছেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো মনের দিক থেকে আত্মবিশ্বাস রাখা দরকার। যারা অসুস্থ আছেন, তারা অবশ্যই এ আত্মবিশ্বাস রাখবেন আশাবাদী।
এছাড়া সুস্থ হয়ে ওঠা অন্য রোগীরাও হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
শহীদ ডা. শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সুশান্ত কুমার মহাপাত্র বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতাল আইসোলেশনে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ১৯ রোগী ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন সুস্থ হয়েছেন। বাকি ১৪ জন চিকিৎসাধীন। এছাড়া সাসপেক্টেড আরও ২৩ জন রয়েছেন।
ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. ইউনুসুর রহমান বলেন, আমাদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাদের চিকিৎসাসেবা ও মনোবল বৃদ্ধির জন্য যা যা করা দরকার সবই করেছি। আর যারা সুস্থ হয়েছেন, তাদের যেনো হেয় না করা হয়। তাদের মনোবল শক্ত রাখার দরকার আছে। তারা আক্রান্ত হয়ে তো দোষ করেননি। এই রোগে আক্রান্ত ৯৫ ভাগ রোগী চিকিৎসায় ভালো হয়ে যান। আমরা আতঙ্কিত না হয়ে শারীরিক দূরত্ব ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলা প্রয়োজন। কেবল যারা আইসিইউ বা ভ্যান্টিলেশনে যান, তাদের সুস্থ হওয়ার মাত্রা খুবই কম। এখনও চিকিৎসাধীন একজনের অবস্থা খারাপ। কারণ ওই রোগীর ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে। সব রোগী সুস্থ হয়ে ফিরবেন আশা করি।
তিনি বলেন, সুখবর হলো আমেরিকায় যে ওষুধ ব্যবহার করে সুফল পেয়েছে, সেই ওষুধ আমাদের ঔষধ প্রশাসনের ডিজি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। আশাবাদী ওই ওষুধ বাজারে চলে আসবে শিগগিরই। যদিও দাম একটু বেশি থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২০
এনইউ/টিএ