বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশি নাগরিকসহ বিভিন্ন জেলা (সংক্রমিত) থেকে আগত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ৬ জেলায় মোট ১০ হাজার ৫৪৫ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
এরমধ্য হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ৯ হাজার ৮৭৩ জনকে, আর এরমধ্যে ৮ হাজার ১৭০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে ৬৭২ জন রয়েছেন এবং এ পর্যন্ত ৫৩৪ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় পিরোজপুর ব্যতিত বিভাগের ৫ জেলায় ৪৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ৬ জেলায় ১০৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাপ্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ২৬৪ জন এবং এরইমধ্যে ১৬৯ জনকে ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ৪৯ জন, পটুয়াখালীতে ৩০, ভোলায় ৫, পিরোজপুরে ১৭, বরগুনায় ৩৬ ও ঝালকাঠিতে ১৪ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে।
পাশাপাশি বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ৩১ জন, পটুয়াখালীতে ১৫, ভোলায় ২, পিরোজপুরে ৩, বরগুনায় ১৮ ও ঝালকাঠিতে ৫ জন করোনা পজেটিভ রোগী সুস্থ হয়েছেন। যাদের এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বরিশালের মুলাদীতে, পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলায় ১ জন, মির্জাগঞ্জে ১ ও দুমকিতে ১ জন এবং বরগুনা জেলার আমতলী ও বেতাগীতে ১ জন করে ৬ জন ব্যক্তির করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২০
এমএস/এএটি