সোমবার (১১ মে) রাতে এ বিষয়ে বাংলানিউজকে জানান বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির। সকালে ঢামেকের করোনা ইউনিটে ওই নারী ফুটফুটে ছেলে শিশুর জন্ম দেন।
ওসি বলেন, ওই নারী স্বামী ও এক সন্তানকে নিয়ে বংশাল কসাইটুলি এলাকার একটি বাসায় থাকেন। গত ৬ মে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর জ্বর ও কাশি দেখা দেয়। করোনাকালে এই লক্ষণ দেখে নারীর স্বামী ঘাবড়ে যান। অনেক জায়গায় যোগাযোগ করতে থাকেন স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য। কিন্তু কেউ সাড়া দেননি।
‘একপর্যায়ে ওই নারীর স্বামী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমরা দ্রুত ওইদিনই ওই বাসায় ছুটে যাই এবং আমাদের উদ্যোগে স্বামী-স্ত্রীকে সুরক্ষাসামগ্রী পরিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল করানো ইউনিটে নিয়ে যাই। ’
তিনি বলেন, ৭ মে রিপোর্ট পাওয়া যায় ওই নারী করোনায় আক্রান্ত। এক পর্যায়ে ঢামেক করোনা ইউনিটের অবস্থা দেখে ওই অন্তঃসত্ত্বা নারী হাসপাতালে ভর্তি হতে চাচ্ছিলেন না। তার ইচ্ছা অনুযায়ী তার স্বামীসহ ওই নারীকে কসাইটুলি বাসায় আইসোলেশন রাখা হয়। পরে আমরা ওই এলাকাটি লকডাউন করে দেই। লকডাউন করার পরে যত রকম সহযোগিতা লাগে সব রকম সহযোগিতা ওই নারীর পরিবারকে করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
‘সোমবার সকালে হঠাৎ ওই নারীর প্রসব বেদনা শুরু হলে দ্রুত তাকে পুলিশের গাড়িতে করে সব রকম সুরক্ষাসামগ্রী পরিয়ে ঢামেকের করোনা ইউনিটে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে ওইখানকার চিকিৎসকরা ওই নারীকে প্রথমে ভর্তি করাতে চায়নি। পরে আমি নিজে কাগজে সই দিয়ে নারীকে ভর্তি করাই। ’
ওসি বলেন, একপর্যায়ে স্বাভাবিকভাবেই ওই নারী একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান জন্ম দেন। নবজাতকটি ভালো থাকলেও তার মায়ের অবস্থা একটু খারাপ ছিল। তবে রাতে খবর নেওয়া হলে আমরা জানতে পারি মায়ের অবস্থাও এখন ভালো।
তিনি জানান, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে সব রকম সহযোগিতা করেছেন ঢাকা মেডিক্যালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন।
এ বিষয় ঢাকা মেডিক্যালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান ঢামেক করোনা ইউনিটে প্রথম কোনো নারী সন্তান জন্ম দিলেন। মা ও সন্তান উভয়ই ভালো আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, জন্মের পরে মায়ের সংস্পর্শে এসে নবজাতক করোনায় আক্রান্ত হবে না- এটা বলা যাবে না। এ ব্যাপারে আমরা সজাগ আছি। যদি প্রয়োজন মনে হয় নবজাতকের করোনা পরীক্ষা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২০
এজেডএস/এএ