ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে অর্ধেকের বেশি শয্যা ফাঁকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২০
কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে অর্ধেকের বেশি শয্যা ফাঁকা

ঢাকা: দেশে সরকারিভাবে কোভিড-১৯-এর চিকিৎসায় প্রথম ডেডিকেটেড হাসপাতাল রাজধানীর ‘কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল’। এ হাসপাতালে মোট শয্যা সংখ্যা ২০০। দেশে দিন দিন করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, এ অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই হাসপাতালে শয্যা সংকট হওয়ার কথা। কিন্তু হাসপাতাল সূত্র জানাচ্ছে, বর্তমানে এখানে করোনা সংশ্লিষ্ট মাত্র ৯২ জন রোগী ভর্তি আছেন। তাদের আরও ১০৮টি শয্যা ফাঁকা পড়ে আছে। ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৭১ জনের করোনা পজিটিভ। বাকিরা সন্দেহভাজন।

শনিবার (১৬ মে) রাতে কুয়েত- বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলীমুজ্জামান বাংলানিউজে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

হাসপাতালের শয্যা ফাঁকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আলীমুজ্জামান জানান, আমাদের এখানে করোনা আক্রান্ত বা সন্দেহভাজন সব রোগীকেই ভর্তি নেওয়া হয়।

এখন পর্যন্ত কাউকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।

যদিও এ ব্যাপারে জানতে হাসপাতালের পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও  তাদের কাউকেই ফোনে পাওয়া যায়নি।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সার্বিক খবরাখবর জানতে চাইলে আলীমুজ্জামান বলেন, শেষ ২৪ ঘণ্টায় এ হাসপাতালে করোনা ইস্যুতে চিকিৎসা নিতে এসে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখানে এখন পর্যন্ত এ ধরনের ইস্যুতে ৩৬ জনের মৃত্যু হলো। এছাড়া আমাদের এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১২ জন। এ পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন মোট ৪১৪ জন।

দিন দিন ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ হাসপাতালের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে এ কর্মকর্তা বলেন, গত কয়েকদিনের মধ্যে এখানে নতুন করে আইসিইউ, ভেন্টিলেটর ও অক্সিজেন সিলিন্ডার যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে আইসিইউ আছে ২৮টি, ভেন্টিলেটরও ২৮টি। এছাড়া ২৪৩টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে।

আলীমুজ্জামান আরও জানান, এ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত আছে ৯৫ চিকিৎসক ও ১১৩ জন নার্স। তারা তিন শিফটে কাজ করছেন। প্রতি শিফটে ৯ জন চিকিৎসক ৮ ঘণ্টা করে ডিউটি করেন। টানা ৮ দিন ডিউটি করার পরে একেকজন ২২ দিন করে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩২ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২০
পিএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।