রোববার (১৭ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ৪২টি ল্যাবের মধ্যে ঢাকার মধ্যে ২১টি ও ঢাকার বাইরের ২১টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ১৩ জন, নারী এক জন। মৃত্যু ১৪ জনে মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৯ জন ও চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচজন । এদের মধ্যে হাসপাতালে ১৩ জন, বাসায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে এক জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সের মধ্যে তিন জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে দুই জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এক জন ও ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছে এক জন।
নাসিমা সুলতানা বলেন, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৫৬ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছে ৪ হাজার ৩৭৩ জন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ২৭৬ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন তিন হাজার ২৪৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন তিন হাজার ৬৩৪ জন। অদ্যাবধি কোয়ারেন্টিনে এসেছেন ২ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৮ জন। আর ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৯১ হাজার ১৩১ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৯ হাজার ৪১৭ জন।
তিনি আরও বলেন, ৬৪ জেলায় ৬১৭টি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত। তৎক্ষণিকভাবে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের সেবা দেওয়া যাবে ৩১ হাজার ১৬৫ জনকে। আর সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ৯ হাজার ১৩৪টি। ঢাকার ভেতরে রয়েছে তিন হাজার ১০০টি। ঢাকা সিটির বাইরে শয্যা রয়েছে ছয় হাজার ৩১৪টি। আর আইসিইউ সংখ্যা রয়েছে ৩৩৯টি, ডায়ালাসিস ইউনিট রয়েছে ১০২টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২০
পিএস/আরআইএস/