রোববার (১৭ মে) সাংবাদিক অপু প্লাজমা দেন। বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান ও প্লাজমা থেরাপি সাব কমিটির প্রধান প্রফেসর ডাক্তার এম এ খান বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান।
তিনি বলেন, হাসপাতালের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ব্লাড ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগে করোনাজয়ী অপুর শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়। তার শরীর থেকে ৪শ এমএল প্লাজমা নেওয়া হয়। আজ শুধু একজনের শরীর থেকেই প্লাজমা নেওয়া হলো। আমাদের এই কার্যক্রম প্রতিদিনই চলমান থাকবে।
করোনাজয়ী যে কেউ এলেই পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে তার শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে। করোনাজয়ীদের এই মহৎ কাজে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রফেসর এম এ খান।
তিনি আরো বলেন, রক্ত দেওয়ার মতো স্বাভাবিক নিয়মেই প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়। দু’একদিনের মধ্যেই প্লাজমা শরীরে আবারো সম্পূর্ণ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন>>>সংগৃহীত প্লাজমা থেকে ২০০ এমএল করে করোনা রোগীদের দেওয়া হবে
আশিকুর রহমান অপু বাংলানিউজকে বলেন, রক্ত দেওয়ার মতোই স্বাভাবিক নিয়মে প্লাজমা সংগ্রহ করেন চিকিৎসকরা। তার আগে ওখানেই সিবিসি পরীক্ষা করেছে আমার। সবকিছু মিলিয়ে ঘণ্টাখানেক সময় লাগে।
২৪-২৫ দিন হলো করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন অপু।
তিনি জানান, প্লাজমা সম্পর্কে সাংবাদিক হিসেবে আইডিয়া আগেই ছিল। চিন্তা-ভাবনা করছিলেন যে হাসপাতাল গিয়ে প্লাজমা দিয়ে আসবেন। এরইমধ্যে অফিস থেকে সাংবাদিক মুন্নী সাহা জানতে চান প্লাজমা দেবো কিনা। পরে, দেবো জানিয়ে প্রফেসর এমএ খানের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন>>>ঢামেকে শুরু হচ্ছে প্লাজমা থেরাপি, করোনা চিকিৎসায় নতুন আশা
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন করোনা রোগীরা কারো স্পর্শে এলে অন্যদের মাঝে এই রোগ ছড়িয়ে যাবে। অথচ দেখেন করোনাজয়ী রোগীদের প্লাজমা দিয়েই করোনা রোগীরা বেঁচে যাবে।
তাই তিনি করোনাজয়ীদের কাছে অনুরোধ জানান, করোনা রোগীদের জীবন বাঁচানোর জন্য স্বেচ্ছায় প্লাজমা দিন।
অপু আরো বলেন, ভয়ের কিছুই নেই। মেশিনের মাধ্যমে হলুদ রঙের প্লাজমা সংগ্রহ করেন চিকিৎসকরা। পরে একই মেশিনের মাধ্যমে বাকিগুলো আবার শরীরে ফিরে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২০
এজেডএস/এএ