ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ঈদের সময় জনসাধারণের করণীয় জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৪ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২০
ঈদের সময় জনসাধারণের করণীয় জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

ঢাকা: করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে সব মুসলিম উম্মাহ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে ও করবে। ইতোমধ্যে দেখছি অনেকেই শহর ছেড়ে গ্রামে গেছেন ও যাচ্ছেন। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুরোধ থাকবে অনগ্রহ করে সবাই নিয়মগুলো মেনে চলার।

রোববার (২৪ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, নিজে সুরক্ষিত থাকবেন আপনার প্রিয়জনকে সুরক্ষিত রাখবেন।

সব ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন। কমপক্ষে তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের জামাতে শরিক হবেন। সব মুসলিম ভাইদের প্রতি অনুরোধ, ঈদের সময় কোলাকুলি থেকে বিরত থাকবেন। শিশুদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখবেন। ঈদের আনন্দ উচ্ছলতার কারণে তারা যেন ঝুঁকির সম্মুখীন না হয়।

‘অবশই শিশুসহ সবাই নিয়ম অনুযায়ী মুখে মাস্ক ব্যবহার করবেন। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন। বাইরের খোলা খাবার খাবেন না। করোনা ভাইরাস নাক, মুখ ও চোখের মধ্য দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে। কাজেই নিজের হাতের প্রতি সজাগ থাকবেন। অযথা নাক, মুখ ও চোখে হাত দেবেন না। ’

নাসিমা সুলতানা বলেন, শিশুদের এ বিষয়ে সচেতন করবেন। মনে রাখবেন করোনা ভাইরাস বিষয়ে সচেতনতা ও সতর্কতা এবং নিয়ম মেনে চলাই আপনাকে সুরক্ষিত রাখতে পারে। যারা ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন তারা আইসোলেশনের নিয়মগুলো মেনে চলবেন। পুষ্টিকর খাবার খাবেন।

‘পানি ও তরল খাবার বেশি করে খাবেন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন লেবু, কমলা, মাল্টা, পেয়ারা ও টাটকা শাকসবজি খাবেন। জিংক সমৃদ্ধ খাবার খান। ডিম, মাংস, কুমড়া, লাউয়ের বীজ, পালংশাক, মাশরুম, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার থেকে জিংক পাওয়া যায়। ’

তিনি বলেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো খাবারের পাশাপাশি মনোবলও চাঙা রাখবেন। হালকা ব্যায়াম করবেন। ফুসফুসেরও ব্যায়াম করবেন। ফুসফুসের ক্ষমতা কার্যকর রাখবেন। যারা কোয়ারেন্টিনে আছেন তারাও মনোবল দৃঢ় রাখবেন। স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করবেন। মনকে প্রফুল্ল রাখে নিজেকে এমন কাজে নিয়োজিত রাখবেন। শিশুদের সৃষ্টিশীল কাজে উদ্বুদ্ধ করবেন।

‘যাদের উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, হাপানি, ডায়াবেটিসসহ অন্য জটিল রোগ আছে তারা জনসমাগম এড়িয়ে চলবেন। নিজেরা বিশেষভাবে সতর্ক থাকবেন। বাড়ির অন্য সদস্যরাও তাদের প্রতি বিশেষ নজর রাখবেন। গর্ভবতী ও স্তনদানকারী মা বিশেষ নিয়ম মেনে চলবেন। সবার ক্ষেত্রে বেশি করে পানি ও তরল জাতীয় খাবার খাবেন। মনে রাখবেন নিয়মিত ব্যায়াম, মনোবল চাঙা রাখায় রোগ প্রতিরোধে বিশেষ সহায়ক হিসেবে কাজ করে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২০
এসই/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।