বুধবার (৩ জুন) সন্ধ্যায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জেলা ও শহর অনুযায়ী দেওয়া সবশেষ তালিকা থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
আইইডিসিআর এর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে ঢাকা।
এছাড়াও তালিকায় দেখা যায় এক হাজারের উপরে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে তিনটি জেলায়। ৫০০ থেকে এক হাজারের তালিকাতেও তিনটি জেলা রয়েছে। সেগুলো হলো- কক্সবাজার ৮৮৭ জন, মুন্সিগঞ্জ ৮১৮ জন এবং নোয়াখালীতে ৭১৬ জন।
১০০ থেকে ৫০০ জন শনাক্ত হয়েছ এমন জেলাগুলোর তালিকায় রয়েছে ময়মনসিংহ ৪৯১ জন, রংপুর ৪৬৯ জন, সিলেট ৪৬৫ জন, ফেনী ২৪২ জন, ফরিদপুর ২৪০ জন, গোপালগঞ্জ ২৩৯ জন, কিশোরগঞ্জ ২৩৩ জন, নেত্রকোনা ২২৫ জন, জামালপুর ২০৯ জন, নওগাঁ ১৯৪ জন, নরসিংদী ১৮৪ জন, দিনাজপুর ১৭৯ জন, চাঁদপুর ১৭৮ জন, মাদারীপুর ১৭৫ জন, হবিগঞ্জ ১৭০, মানিকগঞ্জ ১৬৫ জন, জয়পুরহাট ১৬৩ জন, যশোর ১৫৩ জন, লক্ষ্মীপুর ১৪২ জন, নীলফামারী ১৩৮ জন, বগুড়া ১৩৭ জন, সুনামগঞ্জ ১৩০ জন, বরিশাল ১২৬ জন, শরিয়তপুর ১২৫ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১২১ জন, চুয়াডাঙ্গা ১০১ জন, মৌলভীবাজার এবং খুলনায় ১০০ জন করে রোগী।
করোনা ভাইরাস শনাক্তের তালিকায় ১০০ জনের নিচে রয়েছে যে জেলাগুলো সেগুলো হলো পর্যায়ক্রমে রাজবাড়ী ৯০ জন, শেরপুর ৮৭ জন, পটুয়াখালী ৮৭ জন, কুষ্টিয়া ৮৫ জন, রাজশাহী ৮০ জন, কুড়িগ্রাম ও বরগুনায় ৭১ জন করে, রাঙামাটি ৬৬ জন, ঠাকুরগাঁও ৬৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৬২ জন, নাটোর ৫৯, ঝিনাইদহ ৫৬ জন, ভোলা ৫৫ জন, টাঙ্গাইল ও গাইবান্ধায় ৫৩ জন করে, পঞ্চগড় ৫২ জন, খাগড়াছড়ি এবং সাতক্ষীরায় ৪৭ জন করে। পাবনায় ৪৬ জন, বাগেরহাট ৪২ জন, সিরাজগঞ্জ ৪০ জন, বান্দরবন ৩৯ জন, লালমনিরহাট ৩৮ জন, পিরোজপুর ৩৪ জন, নড়াইল ও ঝালকাঠি ৩০ জন এবং সর্বনিম্ন মাগুরা জেলায় ২৯ জন।
এছাড়াও আইইডিসিআর এর তালিকায় মেহেরপুর জেলার নাম না থাকলেও ম্যাপে দেখা যায় এই জেলাতেও ২৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
এখন পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মোট ৫৫ হাজার ১৪০ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৭৪৬ জন। করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত হয়েছেন মোট ১১ হাজার ৫৯০ জন ব্যক্তি।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২০
আরকেআর/এএ