বৃহস্পতিবার (১১ জুন) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ঘুরে দেখা যায়, মোজাইক করা ফ্লোর ভাঙার কাজ চলছে। উপস্থিত ঢামেক কর্মীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এখানে মার্বেল পাথরের টাইলস লাগানো হবে, তাই আগের করা মোজাইক ফ্লোর ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
জরুরি বিভাগের উল্টো দিকে চোখ যেতেই দেখা যায়, সার দিয়ে রাখা মার্বেল পাথরের টাইলস। কিছু শ্রমিক কাজ করছেন সেখানে। তাদের সঙ্গে কথা হলে জানান, এই বড় বড় মার্বেল পাথরগুলো কেটে সাইজ করে জরুরি বিভাগের ফ্লোরে বসানো হবে।
এদিকে ঢামেকের বার্ন ইউনিট সংলগ্ন একটি জায়গার বেশ কিছু শ্রমিককে একটি দেয়াল ভাঙতে দেখা যায়। এ দেয়ালটি আরও অনেকবার বানানো ও ভাঙা হয়েছে। এবারে দেয়াল ভাঙার কারণ অনুসন্ধান করলে জানা যায়, এখানে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স রাখার জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ জায়গায় বারবার দেয়াল তোলা হয় ও পার্কিংয়ের জন্য ভেঙে ফেলা হয়। এ মুহূর্তে এ ধরনের কাজে ব্যয় কতোটা সমীচীন এসব নিয়ে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন জেগেছে।
এ ধরনের কম দরকারি খাতে খরচের চেয়ে অনেক জরুরি খাতের দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত উল্লেখ করে ঢামেকের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, জরুরি বিভাগেরই অনেকগুলো ট্রলি ভাঙা, পুরানো ও জং ধরা। এগুলোর সংখ্যাও পর্যাপ্ত নয়। অথচ রোগীদের চিকিৎসা সেবার প্রধান একটি সরঞ্জাম হচ্ছে এই ট্রলি। এসব ট্রলিতে করেই রোগীদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নেওয়া হয়। অথচ এসব ট্রলি মেরামত করা হচ্ছে না। ওদিকে যেখানে ৮০টি ট্রলি দরকার, সেখানে আছে মাত্র ৩৫টি। এসবের বাইরেও আরও বেশ কিছু সমস্যা আছে। করোনা কালে মোজাইক করা ভালো ফ্লোর ভেঙে মার্বেল পাথরের টাইলস বসানোর কাজ ধরা উচিত হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
এদিকে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢামেকের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, মূল জরুরি বিভাগ থেকে জরুরি বিভাগের মর্গ পর্যন্ত পুরোটাতেই মার্বেল পাথরের টাইলস লাগানো হবে। এই টেন্ডারটা দেশে করোনা পরিস্থিতি শুরুর আগেই হয়েছিল। জুন মাস এসে গেছে, কাজটা না করলে টাকাটা ফেরত দিতে হতো। তাই সেতা না করে টেন্ডার অনুযায়ী আমরা কাজটা শুরু করেছি।
এদিকে হাসপাতালের ভাঙাচোরা হুইল চেয়ার ও ভাঙা, জং ধরা ট্রলি সম্পর্কে জানতে চাইলে নাসির উদ্দিন বলেন, নতুন ট্রলি আনা হচ্ছে। তবে নতুন হুইল চেয়ার খুঁজেও মিলছে না। আমরা অনেক কোম্পানির সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলছি।
জরুরি বিভাগের উলটোদিকে দেয়াল ভেঙে পার্কিং করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জরুরি বিভাগের অপজিটে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স রাখার জন্য আগে থেকে একটি জায়গা ছিল, সেটাকে একটা সেট বানিয়ে দিচ্ছি। প্রথমে ভুল করে ঠিকাদাররা ওখানে দেয়াল তুলেছিল। এখন তা ভেঙে আবার ঠিকঠাক করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২০
এজেডএস/এইচজে