বিপিও’র তথ্য মতে, গত ৩১ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত এক সপ্তাহে ১২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশের ২৫টি গণমাধ্যমের সংবাদ বিশ্লেষণ করে গত ৮ মার্চ প্রতি সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে এটি।
বিওপি’র প্রতিবেদনে ২২ থেকে ২৮ মার্চের এই সপ্তাহে করোনা উপসর্গ নিয়ে দুইজনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়। পরের সপ্তাহে তা ৬৩ জনে পৌঁছায়। পরের সপ্তাহগুলোয় ১০৬ থেকে ১২০ জনে পৌঁছায়। তারপর আগের সপ্তাহের চেয়ে কমতে থাকে। গত ছয় সপ্তাহে কমার দিকেই প্রবণতা ছিল। কিন্তু দুই সপ্তাহ ধরে এটি বাড়ছে। আর ৩১ মে থেকে ৬ জুন পূর্বের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে ৭০ শতাংশ। সব মিলিয়ে করোনার উপসর্গ নিয়ে সারা দেশে মারা গেছেন ৮৬১ জন।
গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেও তারা করোনা আক্রান্ত না–ও হতে পারেন। করোনা নিয়ে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ৬ জুন পর্যন্ত ৮৭ জনকে গ্রেফতার করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। এ ছাড়া ত্রাণ আত্মসাৎ, খাদ্যে ভেজাল ও করোনা বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘনের মতো অনিয়ম ও অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪৭৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ৯ হাজার ৫৫৭ জনকে।
বিওপির গবেষকেরা বলছেন, দৈনিক সংবাদপত্র জাতীয় ও আঞ্চলিক, টেলিভিশন, অনলাইন মিলে ২৫টি গণমাধ্যম থেকে প্রতিদিন তথ্য নিচ্ছে বিপিও। এরপর এসব তথ্য থেকে মোটামুটি গ্রহণযোগ্যতা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। তবে মাঠপর্যায় থেকে এসব তথ্য যাচাই করা হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২০
এসকেবি/এমএইচএম