জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত চীনে মোট করোনা ভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৮৪ হাজার ২২৮ জন। আর বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৮৪ হাজার ৩৭৯ জন।
মোট আক্রান্তের সংখ্যার হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৮তম। আর মৃত্যুর সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে ৩১তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে আরও ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,১৩৯ জনে।
২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের উহান থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। এরপর দেশটিতে তাণ্ডব চালিয়ে ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ ইউরোপের বেশ কটি দেশে করোনা ভাইরাস কেড়েছে অসংখ্য প্রাণ। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা প্রাণ কেড়েছে লাখেরও বেশি মানুষের। এখনো দেশটিতে প্রচুর মানুষ মারা যাচ্ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অসংখ্য মৃত্যুর খবর আসছিল তখনো বাংলাদেশের অবস্থা এতটা নাজুক ছিল না। ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়।
এরপর ১৪ এপ্রিল একদিনে ২০৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়ে এক হাজার ছাড়িয়ে যায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রথম এক হাজার শনাক্ত হতে সময় লেগেছে ৩৮ দিন। এরপরে ১২ দিনে ৪ হাজার আক্রান্ত হয়ে ৫০ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরপর ১৫ মে একদিনে সর্বোচ্চ এক হাজার ২০২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়ে ৬৯ দিনে ২০ হাজার ছাড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা। ২২ মে একদিনে সারাদেশে ১ হাজার ৬৯৪ জন আক্রান্ত হয়ে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৩০ হাজার ২০৫ জনে। এরপর ২২ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত মোট ১২ দিনে ২২ হাজার ৪৪৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরপর থেকে লাফিয়ে বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২০
এইচএডি/এজে