ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

করোনায় ঘুম কি জিনিস, সেটাই ভুলে গিয়েছিলাম: ডা. ফেরদৌস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৯ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২০
করোনায় ঘুম কি জিনিস, সেটাই ভুলে গিয়েছিলাম: ডা. ফেরদৌস

ঢাকা: করোনাকালে এমনও দিন গেছে- ১৮ ঘণ্টার মতো কাজ করতে হয়েছে। আর কাজ করতে গিয়ে ঘুম কি জিনিস, সেটাই যেনো ভুলে গিয়েছিলাম বলে জানিয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকার।

রোরবার (১৫ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে নিজস্ব ফেসবুক পেজে ‘একটু বিশ্রাম পেলাম’ শিরোনামে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এ কথা বলেন।  

ডা. ফেরদৌস খন্দকার তার ফেসবুকে লেখেন, একটু বিশ্রাম পেলাম।

আমার জীবনটাকে বরাবরই একটা নিয়মের মধ্যে পরিচালিত করেছি। আমি এক জীবনে কখনোই নিয়মের বাইরে যাইনি। তবে সবসময়ই কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। পরিশ্রমকে ভয় পাইনি। পড়াশোনার প্রতি আমার ভালোলাগা সব সময়। সেইসঙ্গে সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডে নিজেকে যুক্ত রেখেছি। ছাত্র অবস্থায় যেমন, কর্মজীবনেও তাই। হিসাব করে দেখেছি, দিনে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টার বেশি ঘুম আমার কখনোই হয়নি। কাজ, কাজ আর কাজ। এই বয়সেও নিয়মিত নানা বিষয়ে পড়াশোনা, চিকিৎসা পেশা, সেইসঙ্গে মানুষের পাশে দাঁড়ানো।

তিনি আরও লেখেন, সাধারণত খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি আমি। নিয়মিত জিম করি। এরপর ব্যস্ততম এক একটি দিন শুরু হয়। দিনভর কাজে ক্লান্তি ভর করে। বিশ্রামের সময় খুব কমই পেয়েছি। এরপর যখন করোনার সময় এলো, তখন পরিস্থিতি আরও বদলে গেলো। এমনও দিন গেছে, যেখানে ১৮ ঘণ্টার মতো কাজ করতে হয়েছে। এমনও হয়েছে ঘুম কি জিনিস, সেটাই যেনো ভুলে গিয়েছিলাম। জীবনকে তুচ্ছজ্ঞান করেছি, মানুষের জন্যে কাজ করার প্রয়াস থেকে। সবসময়ই মনে হতো, মানুষের জন্যে যদি আর একটু বেশি কিছু করতে পারতাম? এই তৃষ্ণা যেনো মেটে না। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ভালোবাসা নিয়ে বলেছি, আমি আছি। নিজের সাধ্য অনুযায়ী যতটা পেরেছি, করেছি।

ডা. ফেরদৌস খন্দকার তার ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানান, বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতিতে কাজ করতে আসার পর, নিয়ম মেনেই আমাকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। আমিও নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেই কোয়ারেন্টিনের দিনগুলো কাটিয়ে দিচ্ছি। মনে হচ্ছে, অবশেষে বোধ হয় একটু বিশ্রামের সুযোগ পেলাম। এখানে খুব ভালো দিন কাটছে আমার। আশপাশে থাকা মানুষগুলো অসাধারণ। তাদের মমতা আমাকে মুগ্ধ করছে। দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা ঘুমাচ্ছি। বন্ধুদের সঙ্গে ডিজিটাল আড্ডা হচ্ছে। প্রচুর পড়াশোনা করছি। খাওয়া-দাওয়া সবকিছু ঠিকঠাক আছে। মনে হচ্ছে, কখনো এমন কোনো উপলক্ষ্ আসে, যেটা হয়তো প্রয়োজন। এই বিশ্রামের সময়টাকে তাই আশির্বাদ বলেই ধরে নিয়েছি। ভবিষ্যত সুস্থ্যতার জন্যে এই বিশ্রামটুকু প্রয়োজন ছিল।

ভয় শুধু একটাই, ওজন যদি বেডে যায়। আমি ভালো আছি। আপনারা সবাই ভালো থাকুন। নিরাপদে থাকুন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১৯ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২০
আরকেআর/ওএফবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।