সোমবার (১৫ জুন) রাতে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন এর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হয় বাংলানিউজের।
তিনি বলেন, হাসপাতলে করোনা ইউনিট চালু করার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফ, যারা সরাসরি করোনা রোগীদের সেবায় নিয়োজিত তাদের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ২৩টি হোটেল ভাড়া করা হয়েছে এবং তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য পরিবহন দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কোভিড আক্রান্ত রোগী মারা গেলে তো অবশ্যই আর যদি সাসপেক্ট রোগীও মারা যায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এই লাশ হস্তান্তর করার সময় করোনা ভাইরাস যাতে লাশের থেকে না ছড়ায় সে ব্যবস্থাও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করে থাকে। যেমন ধরুন লাশ বহন করা ব্যাগ আমাদের নিজস্বভাবে ক্রয় করা। সেই ব্যাগে লাশ ভরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এছাড়া তিনি বলেন, ব্যাগে ভরার আগে বিভিন্ন প্রাইভেট সংস্থাকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে নিয়ম অনুযায়ী লাশকে গোসল করায় এবং কাফনের কাপড় পরিয়ে সেই লাশবাহী ব্যাগে মৃতদেহ ভরে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। করোনা সাসপেক্ট এর কোনো রোগী মারা গেলে মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
সর্বশেষে তিনি বলেন আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। পাশাপাশি নার্স ও স্টাফরাও যথেষ্ট পরিশ্রম করছেন। ডিউটির সময় চিকিৎসকসহ সকলকেই তাদের সুরক্ষার জন্য পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস, টুপিসহ সবকিছুই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২০
এজেডএস/এমএইচএম