ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ঢামেকে নিয়ম ভেঙে করোনা পরীক্ষার অভিযোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২০
ঢামেকে নিয়ম ভেঙে করোনা পরীক্ষার অভিযোগ

ঢাকা: ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগে নিয়ম ভেঙে করোনা পরীক্ষার অভিযোগ উঠেছে। ফলে সেখানে ভর্তি হওয়া রোগীদের স্যাম্পল সংগ্রহে বিলম্ব হচ্ছে।

জানা গেছে, হাসপাতালের কর্মীরাই এ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। তারা বাইরে থেকে রোগী এনে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্যাম্পল টেস্ট করাচ্ছেন।

 

তবে হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন, এমন অনিয়মের খবর পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  

ঢামেকের ভাইরোলজি বিভাগের একটি সূত্র জানায়, হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীর পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়। প্রতিদিনই আনুমানিক ৩০০ রিপোর্ট দেওয়া হয়। এছাড়া নিয়মের বাইরে কিছু কিছু কর্মকর্তার অনুরোধ ভাইরোলজি বিভাগের রাখতে হয়। সেই অনুরোধেই বাইরের কিছু লোকের স্যাম্পল সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।

ওই সূত্রটির দাবি করেন, ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী ভর্তি ছাড়া কোনো রোগীর স্যাম্পল সংগ্রহ করা যায় না। ওয়ার্ডে গিয়ে শুধু ভর্তি হওয়া রোগীদের স্যাম্পল সংগ্রহ করার নিয়ম আছে।  নতুন নিয়ম অনুযায়ী রিপোর্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে হয়। এছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের রোগীদের স্যাম্পলও পরীক্ষা করা হয়।  

ওই সূত্রটি আরো বলেন, আমাদের ভাইরোলজি বিভাগে নিজস্ব টেকনোলজিস্ট মাত্র কয়েকজন। আমরা বাইরে থেকে টেকনোলজিস্ট এনে কাজ করাচ্ছি। আমাদের বিভাগে ডাক্তার ক্লিনার টেকনোলজিস্টসহ বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। লোকবল সঙ্কট থাকলেও নিয়ম ভেঙে হাসপাতালের বিভিন্ন কর্মকর্তার অনুরোধ রাখতে হয়।  

ঢামেকের ভাইরোলজি বিভাগে একটি মেশিন দিনে তিনবার পরীক্ষা করা হয়। এত লোডের কারণে মেশিনকে বিশ্রাম দিতে হয়। তাই স্যাম্পলগুলো জমে থাকে। এপ্রিল শুরু থেকে এই পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি রোগীর স্যাম্পল সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে।

তবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. খান মো. আবুল কালাম আজাদ দাবি করেন, তিনি বাইরের কোনো রোগীর জন্য তদবির করেননি।  

তিনি বলেন, ভাইরোলজি বিভাগে বলা আছে, হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের পরীক্ষার পাশাপাশি ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অগ্রধিকার সবচেয়ে বেশি।  

অন্যদিকে ঢাকা মেডিক্যাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, হাসপাতালের কিছু ব্যক্তি বাইরে থেকে লোক এনে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে অনিয়ম করেছে। বিষয়টি জানা পর কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন আমি নিজেই রিপোর্ট পর্যালোচনা করি।

তিনি জানান, করানো পরীক্ষায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের অগ্রধিকার দেওয়া হচ্ছে। এরপর সুযোগ পাচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২০
এজেডএস/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।