ওই দুই হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, তারা শুরু থেকেই এ ওষুধ ব্যবহার করছেন। তবে সব করোনা রোগীকে ওই ওষুধ প্রয়োগ করা হয় না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ প্রসঙ্গ মঙ্গলবার (১৬ জুন) বিবিসি অনলাইনে বলা হয়েছে, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রায় দুই হাজার করোনা রোগীর শরীরে ডেক্সামেথাসন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করেছিল। পাওয়া ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে এ ওষুধ মৃত্যুঝুঁকি ৪০ থেকে ২৮ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনে। আর যাদের অক্সিজেন নেওয়া দরকার, সেসব রোগীর মৃত্যুঝুঁকি কমে ২৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মুজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, করোনার শুরু থেকে ওই ওষুধ রোগীদের আমরা চিকিৎসার জন্য দিয়ে আসছি। তবে ওই ওষুধটি করোনা আক্রান্ত সবার জন্য নয়। যাদের অক্সিজেন দেওয়া ও যারা ভেন্টিলেটরে আছে চিকিৎসকদের নির্দেশনায় তাদের ওই ওষুধ দেওয়া হয়েছে এবং অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদিকে মুগদা হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুদীপ রঞ্জন দেব বলেন, ন্যাশনাল গাইড লাইনে আগে থেকেই ছিল ওই ওষুধটির ব্যাপারে। আমরা শুরু থেকেই রোগীদের ওষুধটি দিয়ে আসছি। তবে সবার ক্ষেত্রে নয়, ভেন্টিলেটরে থাকা ও অক্সিজেন পাওয়া রোগীদেরই চিকিৎসকের নির্দেশে ব্যবহার করা হয়। ভেন্টিলেটর থেকে অনেকে সুস্থ হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মো. রাশীদ উন নবী বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত নিয়েই এ ওষুধ করোনা রোগীদের দেওয়া যেতে পারে। তবে কোনো করোনা রোগীর ইনফেকশন থাকলে তাকে ওই ওষুধ দেওয়া উচিত নয়।
হাসপাতালের মেডিসিন চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওষুধটি বাংলাদেশের সব জায়গায় পাওয়া যায়। ওষুধটি খুবই সুলভ মূল্য। বড় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই তৈরি করছে বহু বছর ধরে।
ডেক্সামেথাসন মুখে খাওয়ার ওষুধের দাম সর্বনিম্ন ৬০ পয়সা থেকে ১ টাকা ১৫ পয়সা পর্যন্ত। ইনজেকশনের দাম সর্বনিম্ন ১৫ থেকে ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ০২২১ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২০
এজেডএস/এসকে/আরবি/