বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
ডা. নাসিমা বলেন, এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৩৪৩ জনের। আর মোট আক্রান্ত শনাক্ত দাঁড়িয়েছে এক লাখ দুই হাজার ২৯২ জনে। অর্থাৎ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
নাসিমা সুলতানা বলেন, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল, বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৭৫ জন। আর এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪০ হাজার ১৬৪ জন। এছাড়া এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৬৭ হাজার ৫০৩টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৬৭৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ১৭ হাজার ৮৭১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ছয় হাজার ৮৪০ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪০০ জন।
তিনি বলেন, মৃত্যু হওয়া ৩৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮ জন, রাজশাহী বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে দুইজন, বরিশাল বিভাগে একজন, ময়মনসিংহ বিভাগে একজন এবং রংপুরে বিভাগে একজন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২৪ জন। বাসায় মারা গেছেন ১৪ জন। তাদের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ। আটজন নারী।
তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুইজন এবং শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন।
করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে সবাইকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট দিকনির্দেশনা বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার এবং শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে বেড়েই চলেছে মৃত্যু।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
ডিএন/টিএ