ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

‘ইউনানি-আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় দেশ-বিদেশে আশার আলো’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২১ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২০
‘ইউনানি-আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় দেশ-বিদেশে আশার আলো’

মহামারি করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সারাবিশ্ব ভ্যাকসিনের জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। এখন পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে পুরোপুরি কার্যকরী কোনো ওষুধ বের হয়নি। দেশ-বিদেশে চলছে নানা রকম ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল।

এ প্রেক্ষাপটে হামদর্দ বলছে, গরম পানিতে পরিমাণ মতো ইউনানি ওষুধ কুলজম দিয়ে ভাপ নিলে তা অনেক বেশি কার্যকর ও ফলপ্রসূ হবে। এমনকি উপসর্গ দেখা দিলে বা আক্রান্ত ব্যক্তির পক্ষে এটি ব্যবহার করে সংক্রমণ নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হচ্ছে।

সম্প্রতি ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মজিবুল হক স্বাক্ষরিত এক অনুরোধ পত্রে সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবকে করোনা উপসর্গে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রস্তাব দিয়েছেন।

হামদর্দ জানিয়েছে, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াকফ) প্রাসঙ্গিক কিছু ভেষজ ওষুধ দিয়ে কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায় ট্রায়াল দিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং সংক্রমণের উপসর্গ নিরাময়ে ঔষধ প্রশাসন অনুমোদিত হামদর্দের তিনটি ইউনানি ওষুধের সফলতা পাওয়া গেছে। কুলজম গরম পানির বাষ্পের সঙ্গে ব্যবহারের মাধ্যমে ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পাওয়া যাচ্ছে এবং আক্রান্তদের উপসর্গও দ্রুত নিরাময় হচ্ছে।

এছাড়া ফেভনিল সিরাপ জ্বর নিবারণ, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধক ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাবর্ধক হিসেবে অত্যন্ত কার্যকরী। একইসঙ্গে এটি কাশি নিরাময়, কফ নির্মূল এবং ফুসফুসের শক্তিবর্ধক হিসেবেও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।

এছাড়া সারাদেশে হামদর্দের ২৭০টি চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ আছে এমন রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে সফলতা পাওয়া যাচ্ছে।

কীভাবে এই তিনটি ওষুধ কাজ করে, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে হামদর্দ। বলছে, কোভিড-১৯ মূলত আমাদের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়। নাক এবং মুখ দিয়ে আমাদের শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশ করে প্রথমে অবস্থান করে এবং সংখ্যা বাড়াতে থাকে।

এ অবস্থায় কুলজম সহকারে গরম পানির ভাপ নিলে কুলজমে থাকা শক্তিশালী জীবাণুনাশক উপাদান ক্যাম্ফোর, পাইন ওয়েল, ইউক্যালিপটাস ওয়েল এই ভাইরাস ধ্বংস করে ফেলে।

কুলজমের ব্যবহার বিধি: এক বাটি গরম পানির সঙ্গে পাঁচ ফোঁটা কুলজম মিশিয়ে দৈনিক তিন বার নাক ও মুখ দিয়ে শ্বাস টেনে ভাপ নিলে সঠিক উপকার পাওয়া যাবে।

এছাড়া ফেভনিলের সেবনবিধি: একজন প্রাপ্ত বয়স্ককে চার চা-চামচ করে দৈনিক তিন থেকে চার বার খেতে বলেছে হামদর্দ। আর অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলে দুই চা-চামচ করে দৈনিক দুই থেকে তিন বার অথবা রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ মতো খেতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২০
এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।