ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

পাঁচ দফা দাবিতে বারডেমের অস্থায়ী চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১১ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
পাঁচ দফা দাবিতে বারডেমের অস্থায়ী চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

যশোর: চাকরি স্থায়ীকরণ ও সকল চিকিৎসকদের জন্য পর্যাপ্ত করোনা সুরক্ষা সামগ্রী নিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের অস্থায়ী চিকিৎসকদের কর্মবিরতি পালিত হয়েছে।
 

রোববার (২৮ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতি দুপুর ২টায় শেষ হয়।
আন্দোলনকারীরা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগে থেকে বারডেমের মহাপরিচালকসহ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছি।

কিন্তু কোন ধরনের সুরাহা কিংবা আশ্বাস না মিললেও আমরা রোগীদের সেবা বন্ধ করিনি। করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই আমাদেরকে যেসব পিপিই দেওয়া হয়েছে, সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে তিন থেকে চার বার করে ব্যবহার করতে হচ্ছে।

ইতোমধ্যে আমাদের ১৫-২০ জন চিকিৎসক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবুও বারডেম কর্তৃপক্ষ আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া দূরে থাক, খোঁজ-খবরও দিচ্ছে না। এসকল বিষয়ে বারডেমের কয়েকজন স্থায়ী চিকিৎসক অস্থায়ীদের মৌখিক জানিয়েছেন, ‘চিকিৎসা সরঞ্জাম আপাতত দিতে পারবে না। তাদের (বারডেম) আয় নেই, ফলে বারডেমকে উল্টো দিতে হবে। এমনকি, যারা জীবন-ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, অন্তত তাদের চাকরির নিশ্চয়তা দেওয়ার কথাও আমরা তাদের বলেছি। কিন্তু, তারা এসব মানতে নারাজ। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দিনকে দিন ঝুঁকি আরও বাড়ছে। সম্প্রতি ন্যাশনাল কাউন্সিলসহ বেশ কয়েকটি মিটিং হয়েছে। কিন্তু, কোথাও আমাদের দাবিগুলো আমলে নেওয়া হয়নি।

আমরা কয়েকবার তাদের আল্টিমেটাম দেই। কিন্তু, কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি গ্রহণ করছে না। এই অবস্থায় আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে কর্মসূচি পালন ব্যতীত কোন পথ খোলা নেই।

চিকিৎসকদের দাবিগুলো হচ্ছে, বৈষম্যমূলক আরএমও পোস্ট বাতিল করে সব অস্থায়ীভাবে নিয়োগ হওয়া চিকিৎসকদের (আরএমও, এমও ও সহকারী রেজিস্ট্রার) চাকরি স্থায়ী করতে হবে, সকল চিকিৎসকদের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী নিশ্চিত ও চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়ভার বারডেমকে নিতে হবে, কর্তব্যরত চিকিৎসকদের এবং তাদের পরিবারের জন্য কোভিড-১৯ টেস্ট এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে, রোগী ভর্তির পূর্বেই করোনা টেস্টের মাধ্যমে কোভিড/নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য আলাদা লিখিত নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে এবং বারডেমে কর্তব্যরত থাকাকালীন কোনো চিকিৎসকের করোনায় মৃত্যু হলে এককালীন ১০ লাখ টাকা প্রণোদনা দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২১১ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
ইউজি/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।