সোমবার (২৯ জুন) সংগঠনটির মহাসচিব ডা. তাওহীদ আল বেরুনী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।
এতে বলা হয়, রোববার (২৮ জুন) একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ইউনানি চিকিৎসক ডা. মো. মিজানুর রহমানকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করে।
আরও বলা হয়, ডা. মো. মিজানুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (সেশন: ১৯৯১-১৯৯২) অধিভুক্ত সরকারি ইউনানি অ্যান্ড আয়ুর্বেদিক মেডিক্যার কলেজ থেকে ১৯৯৬ সালে বিইউএমএস ( ব্যাচেলর অব ইউনানি মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি) ডিগ্রি অর্জন করেন এবং বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে স্থায়ী সনদপ্রাপ্ত (সনদ নম্বর: ইউ-৪১) ইউনানি গ্রাজুয়েট, এমফিল ফেলো (লিভার রোগ) ও পিএইচডি (হৃদরোগ), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চিকিৎসক হওয়া সত্ত্বেও তাকে ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে আখ্যায়িত করা এবং গ্রেফতারে বাংলাদেশ ইউনানি অ্যান্ড আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করছি।
ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ব্যাচেলর ডিগ্রিধারীরা নামের আগে ডা. লিখতে পারবেন সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমন নির্দেশনা এবং হাইকোর্টের একটি নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে পেশাজীবী সংগঠনটির দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্মারক নম্বর-স্বা. অধি./এএমসি/কর্মকর্তা-পদায়ন/২০১৪/১১৯৯/১ (১০০) এবং স্মারক নম্বর-স্বা. অধি./হো.দে.চি/রেজিস্ট্রেশন-২০১৫/১৬১৫/১ (৩), পরিচালক, হোমিও ও দেশজ চিকিৎসা, অল্টারনেটিব মেডিক্যাল কেয়ার (এএমসি), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা স্বাক্ষরিত বিএএমএস এবং বিইউএমএস পাস করা তাদের নামের আগে ডা. লেখার সপক্ষে এবং অযথা আইন শৃংখলা প্রয়োগকারী সংস্থাকে হয়রানি না করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি রয়েছে।
‘তাছাড়াও হাইকোর্টের রিট পিটিশন নম্বর. ৭০৪৩ অব ২০১২ তে জারি করা রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বি.এ.এম.এস ও বি.ইউ.এম.এস ডিগ্রিধারী চিকিৎসকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে অর্থাৎ নামের আগে ডা. লিখতে ও প্রয়োজনে অ্যালোপ্যাথি মেডিসিন প্র্যাকটিস করতে তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার গ্রেফতার, হয়রানি বা আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
এমইউএম/ওএইচ/